প্রকাশিত: নভেম্বর ১, ২০২৪
প্রেস বিজ্ঞপ্তি : বৈষম্য বিরোধী সচেতন খুলনাবাসীর পক্ষ থেকে মুজিববাদী চেতনা সমূলে উচ্ছেদ, ভারতের গোলাম আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধকরণ ও জুলাই গণহত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করা হয়। ১ (নভেম্বর) শুক্রবার বাদ জুম্মা খুলনা নগরীর শিববাড়ি মোড়ে বৈষম্য বিরোধী সচেতন খুলনাবাসী’র সদস্য কামরুল আহসান-এর সভাপতিত্বে ও কাজী ইফসুফ-এর পরিচালনায় এই বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এসময় তারা বলেন প্রশংসা কেবল আল্লাহর যিনি নিজ অনুগ্রহে আমাদেরকে আওয়ামী দুঃশাসন থেকে মুক্তি দিয়েছেন। বিগত ষোল বছর একচেটিয়া গুম খুন আর লুটতরাজের সাক্ষী হয়েছে বাংলাদেশের জনগণ। যাকে খুশি গুম, যাকে খুশি খুন আর যাকে খুশি মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে বছরের পর বছর হয়রানী করা হয়েছে। যাকেই ভারতের আধিপত্যের জন্য হুমকি মনে করা হয়েছে তার ওপরেই নেমে এসেছে নিপীড়ন। বাদ যায়নি কোন পেশার মানুষ। এমনকি প্রশাসনের অনেক কর্মকর্তাকে পর্যন্ত তাদের সততা ও দেশপ্রেমের কারণে গুম, মিথ্যা মামলা ও হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। আয়নাঘর, বিচার বহির্ভুত হত্যা, প্রশাসনের ছত্রছায়ায় আওয়ামী সন্ত্রাসীদের তান্ডব ছিল খুবই সাধারণ ঘটনা। এই সব অপকর্মকে একটা ন্যারেটিভের ওপর দাঁড় করিয়ে বৈধতা দেয়া হয়েছিল, যার নাম ‘মুজিববাদ’। এই মতবাদে বাংলাদেশকে অনেকটা শেখ মুজিবের ব্যক্তিগত সম্পত্তি হিসাবে দেখানো হতো, যেখানে একচেটিয়া কর্তৃত্ব থাকবে মুজিব পরিবারের আর তাদের চাটুকারদের। দেশের আম জনতা তাদের হাতে জিম্মি হয়ে থাকবে। এখনই সময় এই আগ্রাসী মতবাদের ব্যাপারে সজাগ হওয়ার এবং এই মতবাদের কবর রচনা করার। মুজিববাদী চেতনা সমূলে উচ্ছেদ, ভারতের গোলাম আওয়ামীলীগের রাজনীতি নিষিদ্ধকরণ ও জুলাই গণহত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলসহ ৭ দফা ঘোষনা করা হয়। আর এই ৭ দফা হচ্ছে ১। স্বৈরাচারের মদদপুষ্ট শাহাবুদ্দিন চুন্নুকে রাষ্ট্রপতি পদ থেকে অপসারণ করতে হবে ২। গণতদন্ত কমিশন গঠন করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে শাপলা গণহত্যার বিচার করতে হবে ৩। অনতিবিলম্বে জুলাই গণহত্যার সুষ্ঠু বিচারকার্য শুরু করতে হবে। গণহত্যার সাথে জড়িত খুনি কর্মকর্তাদের বিচার করতে হবে ৪। বাকশালী মুজিববাদী চেতনা সমূলে উচ্ছেদ করতে হবে। আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করে বিচারের আওতায় আনতে হবে ৫। সকল রাষ্ট্রীয় স্থাপনা ও কার্যালয় থেকে বাকশালপন্থী স্বৈরাচার শেখ মুজিবের নাম ও ছবি অপসারণ করতে হবে ৬। তদন্ত কমিশন গঠন করে আওয়ামী লীগের আমলে সংঘটিত সকল জুলুম, বেইনসাফির সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার করতে হবে ৭। জুলাই অভ্যুত্থানের পর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের কেন পালিয়ে যেতে দেওয়া হলো এবং এই কাজে কারা সাহায্য করল, তার সুষ্ঠু তদন্ত, জবাবদিহিতা এবং বিচার করতে হবে। এসময় উপস্থিত ছিলেন ফারুক ফয়সাল, নাওয়াজিস ইসলাম, আরিফুজ্জামন নয়ন, আবদুল্লাহ আল মামুন, ওমর আদনান, রাকিবুল ইসলাম, রাকিব সৌরভ, সাজ্জাদ হোসেন রাফি, মোঃ তুষার, আল আমিন, হারুন অর রশিদ, ডা. আরিফ প্রমুখ।