২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার,সকাল ৮:৪৭

পশুর হাটক্রেতারা বলছেন বাড়তি দাম, বিক্রেতাদের দাবি লোকসান

প্রকাশিত: জুন ১৫, ২০২৪

  • শেয়ার করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক. বাগেরহাটে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে পশুর হাটগুলো জমে উঠেছে।প্রতিটি হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভীড় থাকলেও বেচা-কেনা অনেকটাই কম। দাম নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে রয়েছে মিশ্র প্রত্রিক্রিয়া। ক্রেতারা বলছেন, গেল বছরের থেকে প্রতিটি গরুর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ১০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত। খামারি ও বিক্রেতারা বলছেন, গো-খাদ্যের দাম বেশি থাকায় অতিরিক্ত দামে গরু বিক্রি করতে হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে বেশি দামে ক্রয় করার পরও লোকসান হচ্ছে বলেও দাবি খামারিদের। বাগেরহাটে পশুর কেনা-বেচা অনেকটা কম, ক্রেতারা বলছেন বাড়তি দাম, বিক্রেতারা বলছেন লাভ কম।

শনিবার  (১৫ জুন) জেলার ফকিরহাট উপজেলার বেতাগা পশুর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভীড় দেখা যায়। তবে হাটে বেচা-কেনা ছিল অপেক্ষাকৃত কম। ক্রেতারা অপেক্ষা করছেন শেষ সময়ের জন্য।

বাগেরহাট শহর থেকে আসা সোহাগ আহমেদ বলেন, গরু ক্রয় করতে এসেছি, দাম ও পছন্দের সমন্বয় হচ্ছে না। দেখি পছন্দ করে একটি কিনে নেব।কচুয়া থেকে আসা খোকন আহমেদ বলেন, অনেক গরু এসেছে। দেখছি পছন্দ হলে কিনব। গত বছরের তুলনায় এ বছর একটু দাম বেশি।গরু ক্রয় করে নিয়ে যাওয়া মহিবুল হক নামের এক ব্যক্তি বলেন, দুই লাখ ২০ হাজার টাকা দিয়ে লাল রঙের একটি বড় গরু কিনলাম। কিন্তু মনে হচ্ছে, গেল বারের থেকে দাম অনেক বেশি।আরও পড়ুন: বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে শুধু ‘নেই আর নেই’এদিকে বিক্রেতারা বলছেন, গোখাদ্যের দাম বেশি থাকায় গরুর দাম চড়া। যার কারণে কাঙ্ক্ষিত দামে বিক্রি করতে না পারলে লোকসান গুণতে হবে।তেরখাদা থেকে গরু নিয়ে আসা ব্যবসায়ী মোশারফ হোসেন বলেন, আটটি গরু নিয়ে আসছিলাম। একটি বিক্রি করেছি, কিন্তু তেমন লাভ হয়নি। এখনও সাতটি আছে, অপেক্ষা করছি। আজকে না হলে, ঈদের আগে লোকসান হলেও বিক্রি করে দিতে হবে।কবির হোসেন নামের এক খামারি বলেন, ভূষি, খৈল, পালিশ, ভুট্টা ও গরুর বিভিন্ন ঔষদের প্রচুর দাম। এখন এমন অবস্থা, গেল বারের থেকে ১০-২০ হাজার টাকা বেশি না বিক্রি করলে চালান বাঁচবে না।

জেলা প্রাণি সম্পদ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, এবার বাগেরহাটে ঈদুল আজহা উপলক্ষে স্থায়ী-অস্থায়ী ২৩টি পশুর হাট বসেছে। প্রকৃতপক্ষে হাটের সংখ্যা ৩০টির বেশি। এসব হাটে জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী আড়াই শতাংশ খাজনা নেয়ার কথা থাকলেও ইজারাদারদের বিরুদ্ধে কোনো কোনো ক্ষেত্রে দিগুণ খাজনা নেয়ার অভিযোগ রয়েছে।

বাগেরহাট জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাহেব আলী বলেন, এবার ঈদুল আজহা উপলক্ষে এক লাখ ১২ হাজার ৪১৩টি পশু প্রস্তুত রয়েছে, যা চাহিদার তুলনায় প্রায় ১০ হাজার বেশি। এসব গরু ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য স্থায়ী-অস্থায়ী ২৩টি পশুর হাট বসেছে। এর পাশাপাশি অনলাইনে এবং খামার থেকে সরাসরি পশু বিক্রি করা হচ্ছে। তবে অনলাইনে বিক্রিতে তেমন সাড়া নেই।

  • শেয়ার করুন