২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার,সকাল ৭:১০

বাগেরহাটে প্রধান শিক্ষকের অপসারনের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

প্রকাশিত: অক্টোবর ৮, ২০২৪

  • শেয়ার করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক. বাগেরহাট সদর উপজেলার উপজেলার শিরোখালী (এসে.বি) বেতখালী নাইটখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সোয়েবুল ইসলামের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাত, জালিয়াতি ও দূর্নীতিসহ নানা  অভিযোগে মানববন্ধন পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার (০৮ অক্টোবর)  সকালে নাইটখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগে অপসারণের দাবিতে ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষক ও এলাকাবাসী মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করেন।

বক্তারা জানান, বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি মোল্লা আবঃ জব্বার এর মৃত্যুর পর তার স্বাক্ষর জাল করে ৯ টি চেকের মাধ্যমে ১ লক্ষ ৫১ হাজার টাকা আত্মসাত করে। এছাড়া সবশেষে ২০২৩ সালে ৩ জন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে ৩৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালিন ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করে বিনা রেজুলেশনে গাছ কেটে নিয়ে বিক্রি করে দেয় বং নিজের ঘরের ফার্নিচার তৈরি করেছে। শিক্ষকদের টিউশনি ফি পর্যন্ত  আত্মসাত করে।

তারা আরও বলেন, এছাড়া জেলা পরিষদ থেকে বিদ্যালয়ের বাউন্ডারি সংস্কারের জন্য ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা এনে মাত্র ২০ হাজার টাকার কাজ করে বাকী টাকা আত্মসাৎ করেছেন তিনি। সরকারি বই অতিরিক্ত উত্তোলন করে বিক্রি করা, পুকুর ইজারা দেওয়া টাকা আত্মসাৎ, প্রতিবছর এসএসসি ফর্ম পূরণ বাবদ অতিরিক্ত টাকা আদায় করে আত্মসাৎ করা, প্রধান শিক্ষক ক্লাস না মাসে ৩-৪ দিন এসে হাজিরা খাতায় একসাথে সাক্ষর করেন। কোন নিয়ম কানুনের তোয়াক্কা না করে প্রতিষ্ঠানের রেজুলেশনসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট তার বাসায় রাখেন। তিনি মাঠ সংস্কারের নামে টাকা আত্মসাতসহ ২০১৩-১৪ সালের ৭ জন নিয়োগ দিয়ে প্রত্যেকের কাছ থেকে চার থেকে পাঁচ লাখ টাকা আত্মসাৎসহ নানা অভিযোগ রয়েছে প্রধান শিক্ষক সোয়েবুল ইসলামের বিরুদ্ধে। ৫ আগষ্টের পর থেকে প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ে আসেন না বলে জানান মানববন্ধনে বক্তারা।এ সময় অত্র প্রতিষ্ঠানের মাষ্টার এনামুল হক, ফেরদৌস শেখ, মশিউর রহমান, আরিফ শেখ, অত্র এলাকার ইমরান, কামরুজ্জামানসহ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, ছাত্র ছাত্রী ও অত্র এলাকার প্রায় ৫ শতাধিক ব্যক্তি মা্নববন্ধনে অংশগ্রহন করেন।

এলাকাবাসি অভিযোগ করেন,  প্রধান শিক্ষক নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে প্রতিষ্ঠানের টাকা আত্মসাৎ, চেক জালিয়াতি করে আসছে। শিক্ষকসহ এলাকবাসী তার অপকর্মের প্রতিবাদ ও বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার পায়নি। জেলা পর্যায়ের কিছু আওয়ামী নেতৃবৃন্দের সাথে সখ্যতা থাকায় তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করেও কোন কাজে আসেনি।স্কুলের শিক্ষকসহ কেউ কোন প্রতিবাদ করলেই হুমকি ধামকিসহ থারাব আচরন করতেন তিনি। প্রতিষ্ঠান ঠিকমত পরিচালনা না করে দূর্নীতি ও অর্থ আত্মসাৎ করে হাতিয়ে নিয়েছেন লক্ষ লক্ষ টাকা। তার এই অপকর্মের জন্যই একসময়ের খ্যাতি সম্পন্ন প্রতিষ্ঠান আজ ধ্বংসের পথে । তার দ্রুত অপসারন সহ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানান এলাকাবাসি

এবিষয়ে প্রধান শিক্ষক সোয়েবুল ইসলামের সাথে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপংকর দাশ বলেন, প্রধান শিক্ষকের বিষয়ে অভিযোগ শুনেছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

  • শেয়ার করুন