২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার,সকাল ১০:২২

বাগেরহাটে মা ও মেয়েকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় তিন ভাই গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: আগস্ট ১২, ২০২৩

  • শেয়ার করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক. বাগেরহাটের শরণখোলায় মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা মামলায় এজাহার নামীয় তিন ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১১ আগস্ট) গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে এদের আটক করা হয়। এর আগে হত্যার শিকার পাপিয়ার ভাই আল আমিন খলিফা বাদি হয়ে হত্যার শিকজার পাপিয়ার স্বামী আবু জাফরসহ ৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত নামা ৪জনকে আসামীকে করে শরণখোলা থানায় মামলা দায়ের করেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, শরণখোলা উপজেলার পশ্চিম রাজাপুর গ্রামের আব্দুস সামাদ হাওলাদারের ছেলে মনির হাওলাদার (৪৫), নেহারুল হাওলাদার (৪৮) ও মিলন হাওলাদার (৪০)। গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হক।

তিনি বলেন, মা-মেয়ে হত্যা মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা আপন তিন ভাই। গ্রেপ্তারকৃতেদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।পুলিশ সুপার আরও বলেন, ওই নারীর সাথে তার স্বামীর পারিবারিক কলহ ছিল। তার স্বামীও এজাহার নামীয় আসামী। সে বিষয়টিও আমরা তদন্ত করছি।

নিহতের ছোট বোন সুমি আক্তার বলেন, আপার বাড়িতে-ই ছিলাম। শুক্রবার (১১ আগস্ট) সকালেই আমি বাড়ি যাই। আপা মাঝে মাঝেই বলতেন, মনির তাকে বিরক্ত করে। মনিরের প্রস্তাবে রাজি না হলে, আপাকে মেরে ফেলবে। এজন্য আপা খুব ভয়ে ভয়ে থাকত। অনেক সময় নিজ বাড়ি ছেড়ে, অন্য বাড়িতেও ঘুমাতেন আমার বড় বোন।

শিশুটির চাচা স্কুল শিক্ষক আবু তালেব টুকু বলেন,  ছোট ভাইয়ের এক ছেলে এক মেয়ে। বড় ছেলেটি মঠবাড়িয়ায় থাকে। আমার ভাই ঢাকার একটি দোকানে বিক্রয়কর্মী হিসেবে কাজ করেন। আর মেয়েকে নিয়ে বাড়িতে থাকত ভাইয়ের বউ পাপিয়া আক্তার। মনিরের বিষয়টি আমরাও জানতাম। তবে ভয়ে কথা বলতে পারিনি। কারণ এর আগেও মনির ও তার ভাইয়া এলাকার অনেক মানুষকে অন্যায়ভাবে মেরেছে।

এদিকে পাপিয়ার স্বামী আবু জাফরও ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে। দুটি বিষয় সামনে নিয়ে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।শুক্রবার(১১ আগস্ট) সন্ধ্যায় শরণখোলা উপজেলার উত্তর রাজাপুর গ্রামে নিজ বাড়িতে হামলার শিকার হন হত্যা স্বীকার হন পাপিয়া আক্তার (৩৮) ও তার মেয়ে ছাওদা জেনি(০৫)। আহত অবস্থায় শিশু ছাওদা জেনিকে তার আপন চাচা আবু তালেব টুকুর বাড়িতে নেওয়া হয় এবং সেখানেই সে মারা যায়। পাপিয়া আক্তারকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।হত্যার স্বীকার পাপিয়া আক্তার উত্তর রাজাপুর গ্রামের আবু জাফরের স্ত্রী এবং ধানসাগর এলাকার মোঃ আব্দুল হোসেন খকিফার মেয়ে। ছাওদা জেনি পাপিয়া আক্তার ও আবু জাফর দম্পতির মেয়ে। তাদের  একটি ছেলে রয়েছে।

  • শেয়ার করুন