২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার,রাত ১২:০৮

বাগেরহাটে স্বেচ্ছাশ্রমে ময়লা-আবর্জনা পরিস্কার,খুশি স্থানীয়রা

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৩, ২০২৪

  • শেয়ার করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক.বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলা সদর সংলগ্ন বলেশ্বর ও ভৈরব নদীর তীরে দীর্ঘদিনের ময়লা-আবর্জনা স্বেচ্ছাশ্রমে পরিস্কার করা হয়েছে। দীর্ঘদিন পরে নদী তীর পরিস্কার হওয়ায় খুশি স্থানীয় বাসিন্দা ও বাজারের ব্যবসায়ীরা। শনিবার (২৩ নভেম্বর) ভোর ৬টায় কচুয়া জিরো পয়েন্ট থেকে এই কার্যক্রম শুরু করা হয়। উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এই কর্মযজ্ঞে অংশগ্রহন করেন উপজেলা প্রশাসন, জেবি ব্যবসায়ী গ্রুপ, টিম কচুয়া, বিডি ক্লিন, সহ স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা।

স্বেচ্ছাসেবকরা তীরে দীর্ঘদিনের জমে থাকা ময়লা বস্তায় ভরে ভ্যানে করে বাজার থেকে দূরে করা নির্দিষ্ট স্থানে নিয়ে ফেলছেন। পরবর্তীতে এই বর্জ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে কাজে লাগানো হবে। দীর্ঘদিন পরে বাজার পরিস্কার পরিচ্ছন্ন হওয়ায় খুশি স্থানীয় বাসিন্দা ও স্বেচ্ছাসেবকরা। ভবিষ্যতে নদী তীর ময়লা করলে ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের হুশিয়ারী উপজেলা প্রশাসনের।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশ নেওয়া শেখ সুজন বলেন, দীর্ঘদিন পরে আমরা সবাই মিলে ময়লা-আবর্জনা পরিস্কার শুরু করছি। সবাই স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করছেন। এর ফলে নদীর তীর নান্দনিক হবে। এখান বাসিন্দারা একটি স্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস করতে পারবে।

রাকিব হোসেন নামের এক ব্যক্তি বলেন, উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আমরা খুবই খুশি। তবে এই পরিচ্ছনতা অভিযান মাঝে মাঝে চালানো প্রয়োজন। ভবিষ্যতে যাতে নদীর তীর এরকম পরিস্কার থাকে সেজন্য উপজেলা প্রশাসনকে মনিটরিংয়ের দাবি জানান তিনি।

ময়লা আবর্জনা নির্দিষ্ট স্থানে ফেলার জন্য ব্যবসায়ীদের সচেতন করা হবে বলে জানান কচুয়া বাজার বনিক সমতির সদস্য সচিব সরদার সুমন।

তিনি বলেন, দীর্ঘদিন পরে হলেও বাজার ও নদীর তীর পরিস্কার করা হয়েছে।ব্যবসায়ীরা যাতে নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা ফেলে এজন্য তাদেরকে বলা হবে। কাউ যদি নির্দেষনা অমান্য করে তাহলেও সমিতির পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষনা দেন তিনি।

এদিকে বাজারের ময়লা একটি নির্দিষ্ট স্থানে ফেলার ব্যবস্থা করেছে উপজেলা প্রশাসন। ৫০ ফুট লম্বা ও ৫০ ফুট চওড়া এবং ৮ ফুট গভীল পিটে ময়লা ফেলা হবে। পরবর্তীতে এখানকার পচনশীল ময়লাগুলোকে কাজে লাগানো হবে। পলিথিনসহ অপচনশীল ময়লা ধ্বংস করা হবে বলে জানান উপজেলার শীর্ষ কর্মকর্তা।

কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কেএম আবু নওশাদ বলেন, ভবিষ্যতে যাতে কেউ বাজার এবং নদীর তীরে ময়লা আবর্জনা না ফেলতে পারে সেজন্য মাইকিং করার পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের মাঝে ঝুড়ি বিতরণ করা হয়েছে। এরপরেও কোন ব্যবসায়ী নদীর তীরে ময়লা ফেললে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিন দুই শধাতিক স্বেচ্ছাসেবক বলেশ্বর ও ভৈরব নদীর প্রায় দুই কিলোমিটার তীর পরিস্কার করেন স্বেচ্ছাসেবকরা।

 

  • শেয়ার করুন