২রা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার,রাত ২:১৩

বাগেরহাটে হরিণ শিকারের ফাঁদসহ শিকারি আটক

প্রকাশিত: জুলাই ১, ২০২৫

  • শেয়ার করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক. সুন্দরবনের বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য এলাকা থেকে হরিণ শিকারের ৩০০ ফাঁদসহ আরিফুল ইসলাম দুলাল নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে বন বিভাগ। সোমবার (৩০ জুন) সকালে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের কচিখালী এলাকার সুখপাড়া খাল সংলগ্ন বনাঞ্চলে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। তবে তার সাথে থাকা আরও দুই শিকারি পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। এসময়, ওই বনাঞ্চলে পেতে রাখা হরিণ শিকারের ৩০০ মালা ফাঁদ ও আটক শিকারির কাছে থাকা ১টি ছুরি, ১টি করাত, ১০০ ফুট প্লাস্টিকের রশিসহ বিভিন্ন মালামাল উদ্ধার করা হয়।

আটক আরিফুল ইসলাম দুলাল বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কোরাইল্যা গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে।

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, বৃষ্টির মাঝে কাঁদাপানি উপেক্ষা করে বনের মঝে পায়ে হেটে টহল কালে শরণখোলা স্মার্ট পেট্রোলিং দল সুখপাড়া খাল সংলগ্ন বনাঞ্চল থেকে ওই ব্যক্তিকে আটক করে। সেখানে ফাঁদ পাততে আসা আরও দুজন এ সময় বনের মাধ্যে পালিয়ে যায়। তাদের আটক করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

আটক আরিফুল ইসলাম দুলাল প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের স্বীকার করেছে তারা পাথরঘাটার হরিণ শিকারি চক্র নাসির গ্যাং এর সদস্য। নাসির বন বিভাগীগের তালিকাভূক্ত অপরাধি (হরিণ শিকারি)।

ডিএফও মো. রেজাউল করিম আরও বলেন, হরিণ শিকার, বিষ দিয়ে মাছ ধরাসহ সব ধরণের বনঅপরাধ দমনে সর্বচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। দুর্গম সুন্দরবনে পায়ে হেটে টহল বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। এখানে বাঘ-কুমির, সাপসহ বন্যপ্রাণীর আক্রমণের ঝুঁকি অনেক বেশি। তাঁর মাঝেও আমরা এ ধরণের অভিযান অব্যহত রেখেছি। ফলে গেল দুই মাসে ৩ হাজারের বেশি হরিণ শিকারের ফাঁদ উদ্ধার হয়েছে।

সুন্দরবনের বন্যপ্রাণী প্রজনন মৌসুম ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা ১ জুন থেকে বনে প্রবেশ চলছে তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা। এই সময়ে বনজীবী, পর্যটকসহ সবারই বনে প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে বন বিভাগ।

 

  • শেয়ার করুন