২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার,রাত ১১:২৭

বাগেরহাট ডিসি ও সিভিল সার্জনের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৭, ২০২৪

  • শেয়ার করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক. বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক আহমেদ কামরুল আহসান ও সিভিল সার্জন ডা. জালাল উদ্দিন আহমেদের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। রবিবার (২৭ অক্টোবর)বেলা ১২টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়ে সচেতন বাগেরহাটবাসীর ব্যানারে এই কর্মসূচি পালিত হয়। দাবির পক্ষে একাত্বতা ঘোষনা করে জেলা বিএনপি, যুবদল, শ্রমিক দল ও মহিলা দলের নেতৃবৃন্দ কর্মসূচিতে অংশগ্রহন করেন।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য শাহেদ আলী রবি, সৈয়দ নাসির আহমেদ মালেক, মেহেবুবুল হক কিশোর, হাদিউজ্জামান হিরো, জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি তারিকুল ইসলাম, বিএনপি নেতা মাহবুবুর রহমান টুটুল, শ্রমিক দল নেতা সরদার লিয়াকত আলী, জেলা মহিলা দলের সভাপতি শাহিদা আক্তার, সাধারণ সম্পাদক নার্গিস আক্তার ইভা, ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী সাদ্দাম দীপ প্রমুখ।

কর্মসূচি থেকে জেলা প্রশাসককে ৭২ ঘন্টার মধ্যে বাগেরহাট ছেড়ে যাওয়ার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। তা না হলে আরও অনেক বড় কর্মসূচির ঘোষনা দেন আন্দোলনকারীরা।

অন্যদিকে মানববন্ধন চলাকালীন জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি হারুণ-অর-রশীদ ও সাধারণ সম্পাদক সুজা উদ্দিন মোল্লা সুজনের নেতৃত্বে একই দাবিতে একটি মিছিল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে আসে। মিছিলকারীরা জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জনের অপসারণ এবং শাস্তির দাবি জানান।

প্রসঙ্গত, গেল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বাগেরহাট সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে রায়ু মুখে ক্যানসার সৃষ্টিকারী হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাসের (এইচপিভি) প্রতিরোধী টিকা প্রদান অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক আহমেদ কামরুল আহসানের উপস্থিতিতে বক্তব্যের শেষে জয় বাংলা স্লোগান দেন বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. মো. জালাল উদ্দিন আহম্মেদ। বক্তব্যটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সিভিল সার্জেনের অপসারণের দাবিতে ক্ষোভে ফেটে পড়ে স্থানীয়রা। ওই দিন রাতেই বাগেরহাট জেলা বিএনপি ও যুবদলের নেতৃত্বে সিভিল সার্জনের অপসারণের দাবিতে দফায় দফায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়।

এদিকে বৃহস্পতিবার রাতের পর থেকে সিভিল সার্জন অফিস করছেণ না। একটি সূত্র জানিয়েছে তিনি বাগেরহাটে নেই।

এবিষয়ে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক আহমেদ কামরুল আহসান বলেন, একটি সরকারি সভায় সিভিল সার্জন যে বক্তব্য দিয়েছেন, সে বিষয়টি উর্দ্ধোতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এছাড়া স্থানীয়রা যে অভিযোগ তুলেছেন সেসবের কোন ভিত্তি নেই। প্রতিটি বিষয় মন্ত্রণালয়কে জানানো হবে, সেখান থেকে যে নির্দেশনা দিবে সে অনুযায়ী কাজ করা হবে।

  • শেয়ার করুন