৭ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার,সকাল ১১:১৪

মোংলা সমুদ্র বন্দরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, খুশি স্থানীয়রা

প্রকাশিত: নভেম্বর ১১, ২০২৪

  • শেয়ার করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক. বাগেরহাটের মোংলা পৌরসভার মেরিন ড্র্বাইভ সড়কের দুই পাশে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের জমিতে থাকা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু হয়েছে। সোমবার(১১ নভেম্বর) সকালে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সনজিত কুমার চন্দের নেতৃত্বে সকালে মেরিন ড্রাইভ এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়।এসময়, বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচলক (প্রশাসন)মো: নুরুজ্জামান, বন্দরের নিজস্ব নিরাপত্তা কর্মী ও ও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। দীর্ঘদিন পরে উচ্ছেদ অভিযান হওয়ায় খুশি মোংলা পোর্ট পৌরবাসী।

এদিন প্রায় ১০ একর জমিতে থাকা ৭০টি আধাপাকা ও কাচা অবৈধ স্থাপনা এসকেভেটর দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। মোংলা বন্দরের জমি উন্মুক্ত রাখতে ও সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান বন্দর কর্তৃপক্ষের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুনজিত কুমার চন্দ।

তিনি বলেন, মোংলা নদীর দুই পাড়ে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের অনেক জমি রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে কিছু স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা অবৈধভাবে বন্দরের জমিতে আধাপাকা, কাচা ও পাকা ঘর নির্মান করে দখলে রেখেছিলেন। আমরা অবৈধ দখলকারীদের জমি খালি করতে আগে নোটিশ দিয়েছি, পাশাপাশি মাইকিংও করা হয়েছে। এরপরেও দখলদাররা দখল ছাড়েনি। যার ফলে আজকের অভিযান। আজকে আমরা প্রায় ১০ একর জমিতে থাকা ৭০টি স্থাপনা উচ্ছেদ করেছি। ভবিষ্যতেও এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

এদিকে দীর্ঘদিন পরে বন্দর কর্তৃপক্ষের উচ্ছেদ অভিযানে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় রেজাউল কবির শুভ বলেন, মোংলা পোর্ট পৌরসভার অভ্যন্তরে বন্দরের অনেক জমি রয়েছে। এসব জমি স্থানীয় প্রভাবশালীরা দখল করে স্থাপনা করেছেন। কেউ ভাড়াও দিয়েছেন। বন্দর কর্তৃপক্ষ আজকে যে উচ্ছেদ অভিযান করেছে। এখন মেরিন ড্রাইভ সড়কটির দুইপাশ পরিচ্ছন্ন হয়েছে। আমরা খুব খুশি হয়েছি।

১৯৫০ সালে স্থাপিত মোংলা বন্দরের মোংলা নদীর দুই তীরে বন্দরের ২০২২ একর জমি রয়েছে। এসব জমির একটা বড় অংশে দীর্ঘদিন ধরে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা অবৈধভাবে স্থাপনা করে রেখেছেন।বিভিন্ন কারণে এতদিন এসব অবৈধস্থাপনা উচ্ছেদ করেনি কর্তৃপক্ষ।

 

 

  • শেয়ার করুন