৭ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার,দুপুর ১২:২১

রাষ্ট্রপতিকে সম্মান রেখে বিদায় নিতে বললেন : চরমোনাই পীর

প্রকাশিত: নভেম্বর ৩, ২০২৪

  • শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক. ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই) বলেছেন, শেখ হাসিনা পালানোর পরে রাষ্ট্রপতি বলেছিলেন পদত্যাগপত্র পেয়েছেন। কিছু দিন পরে তিনি বলেন পদত্যাগপত্র তিনি পাননি। তিনি কচ্ছপের মতো আচরণ করেছেন—বিপদ দেখে মাথা গুটিয়ে নিয়েছেন, বিপদ গেলে আবার মাথা বের করেছেন। সম্মানের সাথে পদত্যাগ করে চলে যান। আর তা না হলে আপনাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করাবো।রোববার (০৩ নভেম্বর) বিকেলে বাগেরহাটের ঐতিহাসিক খান জাহান আলী (রহ) মাজার মাঠে ফ্যাসীবাদ ও তাদের দোসরদের আগামী নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা এবং পি.আর. (PR) পদ্ধতিতে আগামী নির্বাচন আয়োজনের দাবীতে গণ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় দিনের একথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা কারও লেজুড় ভিত্তিক হতে চাই না। বিগত সময়ে যারা ক্ষমতায় গিয়েছেন তারা ইসলামের বারোটা বাজিয়েছেন। ৫ আগস্টের পরে ইসলামী রাষ্ট্রের পর্যায়ে যাওয়ার একটি পরিবেশ তৈরি হয়েছে। ইসলামী দলগুলো একত্রিত হলে এবং একটি প্ল্যাটফর্ম গঠন করতে পারলে, আশা করা যায় ইসলামী রাষ্ট্র গঠন করা সম্ভব হবে। স্বাধীনতার পর থেকে যাঁরা দেশের ক্ষমতায় বসেছেন তাঁরাই স্বৈরাচার হয়েছেন। গত দেড় দশকের এক স্বৈর-শাসকের কবল থেকে আল্লাহ আমাদের রক্ষা করেছেন। ছাত্র-জনতার জীবনের বিনিময়ে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি।
প্রধান অতিথি বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে যারাই দেশের ক্ষমতার চেয়ারে বসেছে তারাই স্বৈরাচার হয়েছে। গত দেড় যুগের এক স্বৈর-শাসকের কবল থেকে আল্লাহ তা’য়ালা আমাদেরকে রক্ষা করেছেন। ছাত্র-জনতার জীবনের বিনিময়ে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। নতুন বাংলাদেশে আর কেউ স্বৈর-শাসক না হতে পারে এজন্য পি.আর. সিস্টেম বা সংখ্যানুপাতিক হারে নির্বাচন পদ্ধতি প্রবর্তন করতে হবে। বক্তব্যে তিনি জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যায় জড়িতদের বিচারের দাবী জানান। আওয়ামীলীগ সহ সকল দুর্নীতিবাজদের অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে তাদেরকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করার দাবী জানান।
বিশেষ অতিথি নায়েবে আমীর আলহাজ্ব হযরত মাওঃ অধ্যক্ষ আব্দুল আউয়াল বলেন, আমরা দেশে লক্ষ করেছি, আওয়ামী স্বৈরাচার বিদায়ের পর অনেক নব্য স্বৈরাচার চাঁদাবাজী- দখলদারিত্বে লিপ্ত হয়েছে। তাদেরকে আওয়ামীলীগের পতনের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে সুস্থ্য রাজনীতি চর্চার আহবান জানান।
বাগেরহাট জেলার সভাপতি হাফেজ মাওঃ মাহফুজুর রহমান বলেন, বাগেরহাট খান জাহান আলী (রহ) এর পূণ্যভূমি। ইসলামী আন্দোলনের উর্বরভূমি এ বাগেরহাট। বাগেরহাট থেকে ইসলামের বিজয়ের সূচনা হবে ইনশাআল্লাহ। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাটে হাতপাখার বিজয় নিশ্চিত করানোর জন্য নেতাকর্মীদেরকে এখন থেকেই প্রস্তুতি গ্রহণের আহবানও জানান।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাগেরহাট জেলা শাখার  সেক্রেটারী হাফেজ মাওঃ মোশাররফ হোসাইন, যুব নেতা এইচ এম ইসমাইল হোসেন এবং হাফেজ মাওঃ মাহবুবুর রহমান এর যৌথ সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) আলহাজ্ব মাওঃ শোয়াইব হোসেন, জেলা কমিটির উপদেষ্টা আলহাজ্ব মাওঃ মুজ্জাম্মিল হক কাসেমী।
এছাড়া আরো বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বাগেরহাট জেলা শাখার সহ-সভাপতি মাস্টার মকবুল হোসেন, এইচ এম সাইফুল ইসলাম, ফকির মোঃ শহিদুল ইসলাম, জয়েন্ট সেক্রেটারী মাওঃ ফারুক হোসাইন, ত্রান ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মোঃ কবির হোসেন বাচ্চু পাইক, শ্রমিক আন্দোলনের জেলা সেক্রেটারী মুফতী নূরুজ্জামান, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের সেক্রেটারী মুফতী তরিকুল ইসলাম, যুব নেতা মাওঃ আবু বকর, মাওঃ সালমান আশরাফী, ছাত্র নেতা আব্দুল আজিজ, হোসাইন আহমাদ, মোহাম্মাদুল্লাহ, মাহদী হাসান এবং জেলা ও উপজেলার অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
  • শেয়ার করুন