৭ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার,সকাল ১১:৪০

সপ্তাহে বাজার নিয়ন্ত্রনের আশা, স্বপ্নবাজ কাজী আবেদ হোসেনের

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৪, ২০২৪

  • শেয়ার করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক. দেশব্যাপী যখন লাগাম ধরে রাখতে পারছেন না, তখনই দেশব্যাপী দ্রব্যমুল্যে নিয়ন্ত্রনে মডেল উদ্ভাবনে আশা করছেন সরকারের একজন যুগ্ন সচিব। কিছু অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটে বেড়ে যাচ্ছে বিভিন্ন পণ্যের দাম। তাই জনগনের দূর্ভোগ কমাতে ন্যায্য মূল্যে পণ্য সরবরাহ করতে বিকল্প উপায় খুঁজে বের করেছেন মোংলা বন্দরের অর্থ বিভাগের পরিচালক সদস্য পদে নিযুক্তযুগ্ন সচিব কাজী আবেদ হোসেন।

রোববার দুপুরে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সভাকক্ষে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের মডেল উদ্ভাবন বিষয় গনমাধ্যমকর্মীদের সামনে গ্রাম থেকে রাজধানী পযন্ত দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের মডেলের সার্বিক  বিষয়ে তুলে ধরেন সরকারী কর্মকর্তা কাজী আবেদ হোসেন।

তিনি বলেন, তার এ উদ্ভাবন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ থেকে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর পর তা বিশ্লেষণের মধ্যদিয়ে পাঠানো হয় মন্ত্রী পরিষদ বিভাগে। সেখান থেকে  গত ১৫ অক্টোবর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। উক্ত পত্রে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান । এটি দেশব্যাপী বাস্তবায়ন করা গেলে সরকার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সফল হবেন বলেও মনে করেন তিনি। দ্রব্যমূল্যের উত্তরণ হলে আনাদের দেশ খুব অল্প সময়ে খুব বেশি মাত্রায় এগিয়ে যাবে, উন্নয়ন সম্ভব হবে। কারণ দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের মডেলটিতে সরকারের অর্থ ব্যয় হবেনা, অতিরিক্ত জনবলের প্রয়োজন নেই, নতুন আইন তৈরির দরকার নেই। এটি সাধারণ মানুষের সহজ বোধগম্য ও তাৎক্ষণিক বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।

তার এই মডেলে সাধারণ মানুষের হাতে কিভাবে কমমূল্যে সহজভাবে পণ্য পৌঁছাতে পারে সেজন্য অন্তত ৫০ টি রুপরেখা তুলে ধরেন তিনি। সরকার যদি বাস্তবায়ন করেন তাহলে এক সপ্তাহের মধ্যে দ্রব্যমুল্যের বাজার নিয়ন্ত্রনে আসবে বলে আশা তার।

দ্রব্যমুল্যে নিয়ন্ত্রনে মডেল উদ্ভাবনে সংক্ষিপ্ত রূপরেখা। শুরুতেই তিনটি কমিটি হতে পারে। যার মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ ও উপজেলার প্রতিটি হাটের সভাপতি ও সেক্রেটারি সদস্য হবেন, উপজেলা প্রশাসন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ফসলহানি বা অন্য কারণে আকস্মিক মূল্যবৃদ্ধি অথবা অধিক উৎপাদনের কারণে মূল্যহ্রাসকালীন কমিটি।

এসময় তিনি আরও বলেন, তার এই রুপরেখা বাস্তবায়ন হলে ৬৪ জেলা ও বিভাগীয় শহরে দ্রব্যমূল্যে নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত হবে। তিনি তার রুপরেখায় প্রান্তিক কৃষকদের জন্য প্রয়োজনীয় ডিজেলের মূল্য কমানো, কৃষকদের কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ডের মাধ্যমে উপজেলার নির্দিষ্ট স্থানে সিসি ক্যামেরার আওতায় কৃষি ভর্তুকি প্রদান, প্রত্যেকটি উপজেলায় ইউএনও অফিসের সকল কর্মকর্তা বাজারের সংগৃহীত খুচরা মূল্যের ভিত্তিতে প্রতিটি দ্রব্যের গড়মূল্য প্রস্তাব করবে এবং বানিজ্য মন্ত্রনালয় নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির একটি তালিকা করবে। এছাড়া দেশের প্রতিটি বাজারে দৃশ্যমান সাইনবোর্ড সরকারি দ্রব্যমূল্য প্রদর্শিত হবে এবং তা সিভিল পোশাকে বিছিন্নভাবে ক্রেতার বেশে মূল্য নিয়ন্ত্রণ মনিটরিং করবে। একইসাথে চাঁদাবাজি রোধে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে হবে বলেও উল্লেখ করেন সরকারের এই কর্মকর্তা।

  • শেয়ার করুন