১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার,সকাল ৭:৫৫

ন্যায় বিচার করা হবে, থাকবে না কোন প্রশ্ন -প্রসিকিউটর তামীম

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৪

  • শেয়ার করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক. ৫ আগষ্ট “লং মার্চ টু ঢাকা”তে অংশ নিয়ে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করা শহীদ শিক্ষার্থী বাগেরহাটের আলিফ আহমেদ সিয়ামের কবর জিয়ারত করে হত্যার বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে তদন্ত শুরু করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর (প্রশাসন) গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামীম। শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর)বিকেলে তিনি বাগেরহাট সদর উপজেলার বড়বাসবাড়িয়া গ্রামে শহীদ আলিফ আহমেদ সিয়ামের বাড়িতে যান। প্রথমেই তিনি সফরসঙ্গীদের নিয়ে সিয়ামের কবর জিয়ারত করেন। সিয়াম আহমেদসহ সকল শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা ও স্বজনহারাদের জন্য দোয়া করেন।

পরে সিয়ামের দুই চাচা ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলেন প্রসিকিউটর তামীম।সিয়ামের বাবার বসত ঘর পরিদর্শন করেন তিনি। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে গণহত্যার বিচারের আশ্বাস দেন প্রসিকিউটর (প্রশাসন) গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামীম। প্রসিকিউটরের কাছে স্বজন হত্যার ন্যায় বিচার চান সিয়ামের দুই চাচা।

সিয়ামের চাচা মুজিবুর রহমান বলেন, “লং মার্চ টু ঢাকা”তে অংশ নিয়ে ৫ আগস্ট আমার ভাইয়ের ছেলে আলিফ আহমেদ সিয়ামের মাথায় গুলি লাগে। এনাম মেডিকেলে চিকিৎসাধীন ৭ আগস্ট সে মারা যায়। আমরা ন্যায় বিচার চাই। যারা গুলি করেছে এবং যাদের নির্দেশে গুলি করেছে তাদের সকলের শাস্তি চাই।

প্রসিকিউটর (প্রশাসন) গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামীম জানান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের পক্ষ থেকে আমি আলিফ আহমেদ সিয়ামের বাড়ি ও কবর দেখতে আসছি। আলিফ আহমেদ সিয়াম একটি ইতিহাস। ট্রাইব্যুনালে এখন পর্যন্ত জুলাই গনহত্যা বিষয়ক ১৫টি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। আলিফ আহমেদ সিয়ামের অভিযোগটা ছিল ট্রাইব্যুনালে প্রথম অভিযোগ এবং শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রথম মামলা।

তিনি আরও বলেন, ইতোপূর্বে ট্রাইব্যুনালের অনেক ইতিহাস আপনাদের জানা আছে। আমরা কথা দিচ্ছি ট্রাইব্যুনালের সকল ইতিহাস মুছে, এমন একটি বিচার জাতিকে উপহার দিব যেখানে কোন প্রশ্ন থাকবে না। ন্যা্য় বিচার দেওয়া হবে সম্পন্ন, তবে বিচারের ক্ষেত্রে কোন ছাড় দেওয়া হবে না।

১০ম শ্রেনির শিক্ষার্থী আলিফ আহমেদ সিয়াম বাবা-মায়ের সাথে সাভার জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় থাকতেন। ৫ আগস্ট “লং মার্চ টু ঢাকা”তে অংশ নিয়ে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭ আগস্ট রাতে মারাযায় সিয়াম। পরে ১৪ আগস্ট আলিফ আহমেদ সিয়ামের বাবা বুলবুল আহমেদ বাদী হয়ে ০৯ জনকে অভিযুক্ত করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন। বুলবুল আহমেদ জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে কাপড়ের ব্যবসা করেন।

  • শেয়ার করুন