প্রকাশিত: মার্চ ৩, ২০২৫
স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট. বাগেরহাট কারাগারে বন্দি কচুয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান বাবুর কাছ থেকে ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (০৩ মার্চ) দুপুরে কারাগারে থাকা মেহেদী হাসান বাবুর ব্যাগ তল্যাসী চালিয়ে ৩ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এঘটনায় মেহেদী হাসান বাবুসহ চার কারাবন্দিকে শাস্তি হিসেবে ডান্ডাবেরী পড়ানো হয়।
অন্য তিনজন হল, বাদল শেখ, ইউসুফ শিকদার ও জসিম সরদার।
কারাগার সূত্রে জানাযায়, গেল ২৫ ডিসেম্বর গভীর রাতে পটুয়াখালীর লেবুখালীতে পায়রা সেতুর টোল প্লাজা থেকে কচুয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান বাবুকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ২৮ ডিসেম্বর থেকে কচুয়ার একটি হত্যা মামলাসহ একাধিক রাজনৈতিক মামলায় তিনি কারাগারে রয়েছেন। অসুস্থ্যতার কারণে খুলনায় চিকিৎসা শেষে ২৬ ফেব্রুয়ারী বাগেরহাট আদালতে মামলার হাজিরা শেষে বিকেলে কারাগারে নেওয়া হয় মেহেদী হাসান বাবুকে।
এদিকে কারা অভ্যন্তরের একটি বিশ্বস্ত সূত্র বলছে, তল্যাশী করে ১০০ পিস ইয়াবা পাওয়া গেছে। তবে জটিলতা এড়াতে মাত্র তিন পিস ইয়াবার বিষয় উল্লেখ করা হচ্ছে। কারা অভ্যন্তরে ইয়াবা প্রবেশের ক্ষেত্রে সিআইডির দায়িত্বে থাকা কারারক্ষি আনোয়ারের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে দাবি অনেকের। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও অনেকে স্টাটাস দিয়েছেন। স্টাটাসে বলা হচ্ছে, কারা অভ্যন্তরে একশ পিস ইয়াবা পাওয়া গেছে।
তবে সিআইডির দায়িত্বে থাকা কারারক্ষি আনোয়ারের কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের এড়িয়ে যান এবং দ্রুত সটকে পড়েন।
এবিষয়ে জানতে কারাগারের সামনে সাংবাদিকরা উপস্থিত হলে কারাগারের দায়িত্বশীল কেউ মুঠোফোন রিসিভ করেননি। পরে জেলা প্রশাসকের সরানাপন্ন হলে আধাঘন্টা পর সুপার মুঠোফোন রিসিভ করেন।
বাগেরহাটের জেল সুপার শংকর কুমার মজুমদার বলেন, সন্দেহ হলে দায়িত্বরত কারারক্ষিরা আমাদের অবহিত করে। পরে মেহেদী হাসান বাবুর ব্যাগ তল্যাশী করে তিন পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। এঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে জেলকোড অনুযায়ী,মেহেদী হাসান বাবুসহ চারজনকে ডান্ডাবেরী দেওয়া হয়েছে।
তবে কারা অভ্যন্তরে কিভাবে ইয়াবা প্রবেশ করল এমন প্রশ্নের কোন সদুত্তর দেননি জেল সুপার শংকর কুমার মজুমদার।