প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৫
প্রকাশিত:
নিজস্ব প্রতিবেদক. পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্র জনতা। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দেপাড়া বেলায়েত হোসেন ডিগ্রী কলেজের সামনে ছাত্র সমাজের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পরে দেপাড়া বেলায়েত হোসেন ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষের কাছে একটি প্রতিবাদ লিপি প্রদান করেন আন্দোলনরত ছাত্র-জনতা। এসময় সালমান, এনামুল, জিহাদুল, জাবেদ, রাবেয়া, রুমানা, হাফিজাসহ প্রায় দুই শতাধীক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে কলেজ কতৃপক্ষ অভিযোগ উঠা ওই শিক্ষকের বিরুদ্বে কারণ দর্শানো নেটিশ ও ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
এসময় শিক্ষার্থীরা জানান, গত ১০ ফেব্রুয়ারি বেলায়েত হোসেন ডিগ্রী কলেজের ইসলামের ইতিহাস ২য় পত্র পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে স্পষ্টভাষায় ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের স্বাধীনতার ঘোষক মরহুম প্রেসিডেন্ট শহীদ জিয়াউর রহমান এর স্থলে বাকশাল সৃষ্টিকারী শেখ মুজিবের নাম নির্লজ্জ ভাবে জুড়ে দেওয়া হয়েছে এবং সেই সাথে দেশে বিভাজন সৃষ্টির লক্ষ্যে একটি প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলকে উদ্দেশ্য করে খুবই অরুচিকর ভাষায় প্রশ্ন জুড়ে দিয়ে স্বাধীন, সার্বভৌম রাষ্ট্রে জাতিকে বিভক্ত করার প্রচেষ্টায় লিপ্ত করার চেষ্টা করছে।
প্রশ্নপত্র প্রনয়ণকারী ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো খসরুল আলম দেশের ইতিহাস বিকৃতি করে এক নজির বিহীন দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করেছে। এর মাধ্যমে ১৯৭১ সাল ও ২০২৪ এ হাজারো শহীদদের বিপক্ষে অত্র প্রতিষ্ঠানকে দাঁড় করিয়ে প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, কয়েকমাস আগেও এ জাতির উপর বর্বর গনহত্যা চালানোর মাধ্যমে পুনরায় বাকশাল কায়েমের স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে হাজার হাজার তরুণকে প্রকাশ্যে রাজপথে পিটিয়ে, কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করেছে তাদের পুনরায় আওয়ামী লীগকে পূর্নবাসনের চেষ্টা করা হয়েছে। তাই প্রশ্নপত্র প্রণয়নের সাথে জড়িত সংশ্লিষ্ঠ সকলকে আইনের আওতায় আনাসহ সামাজিক মাধ্যমে স্পষ্ট ভাষায় ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানান বক্তারা। অন্যথায়, বিক্ষুদ্ধ ছাত্র-সমাজ বিপ্লবী পথে হাটতে বাধ্য হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে ছাত্ররা।
এবিষয়ে প্রশ্নপত্র প্রনয়ণকারী ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো খসরুল আলম বলেন, ভুলবসত ঘটনাটি ঘটেছে।
বেলায়েত হোসেন ডিগ্রী কলেজের অধ্যাপক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, অভিযোগ উঠা শিক্ষকের বিরুদ্বে কারণ দর্শানো নেটিশ দেওয়া হয়েছে ও ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা করা হয়েছে। প্রশ্নপত্র প্রনয়ণকারী ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো খসরুল আলমকে ৩ কর্মদিবসের মধ্যে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।