নিজস্ব প্রতিবেদক. বাগেরহাটে সন্তানকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও ছেলে হত্যার বিচার না পাওয়ার আক্ষেপ পরিবারের। ছেলে হত্যার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করে ন্যায় বিচারের দাবি তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাবা-মা’।

শনিবার (১ মার্চ) দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কচুয়া উপজেলার রঘুদত্তকাঠি গ্রামের  মো. শাহীন হাওলাদার।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, কচুয়া উপজেলার রঘুদত্তকাঠি গ্রামের যুবক রাকিবুল ইসলাম খুলনার রূপসা মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল (রূপসা ম্যাটস) থেকে পড়াশোনা শেষ করে স্থানীয় মাহমুদা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কর্মজীবন শুরু করেন। কর্মস্থলের কাছেই একটি মেসে থাকতেন তিনি। শাহীন হাওলাদারের ভাষ্যমতে, দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্কে থাকার পর রাকিব পরিবারের অজান্তেই গ্রামের মেয়ে মোসা. আখি খাতুনকে বিয়ে করেন। কিন্তু বিষয়টি জানাজানি হলে আখির পরিবার ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। একপর্যায়ে রাকিব ও তাঁর বাবাকে হুমকির মুখে পড়তে হয়। রাকিবুল ইসলামের মৃত্যুর পর তার পরিবার এটি নিছক সড়ক দুর্ঘটনা নয়, বরং পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করে।

তিনি বলেন, ছয় বছর ধরে প্রেমের সম্পর্কে থাকা তাঁর একমাত্র ছেলে রাকিবকে ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। “এটি কোনো দুর্ঘটনা নয়, বরং পূর্বপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। আমি আমার ছেলের হত্যার ন্যায়বিচার চাই! এসময় কান্নাজড়িত কণ্ঠে এমনই আহ্বান জানান রাকিবুল ইসলামের বাবা মো. শাহীন হাওলাদার।

২০২৩ সালের ৬ নভেম্বর নিহত রাকিবের বাবা  মো. শাহীন হাওলাদার বাদি হয়ে আসলাম জোমাদ্ধার, রিপন শেখ, ওমর ফারুক, সেন্টু জোমাদ্দার, আখি খাতুন, অঞ্জন ঘোষ ও মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে মামলাটি  সিআইডির পুলিশ দন্ত করছে।

সাংবাদিকদের একপ্রশ্নের জবাবে শাহিন হাওলাদার বলেন, যদি সত্যিই দুর্ঘটনা হয়ে থাকে, তবে তা তদন্ত করে আমাকে দেখানো হোক। আমি আমার সন্তানের হত্যার বিচার না পেলে থামব না! কচুয়া থানার  সহকারী উপ  পুলিশ পরিদর্শক  জাহাঙ্গীর আলম জানান, “মামলাটির তদন্ত সম্পন্ন করে রিপোর্ট বিজ্ঞ আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে।