এ সময় শ্রমিকরা বাড়তি আরো তিন মাসের বেতন ও ঈদুল আযহার বোনাসের টাকা প্রদানের দাবিতে বিক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠে। শত শত নারী পুরুষ শ্রমিক ইপিজেডের প্রধান গেটে অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে থাকে। এক পর্যায়ে শ্রমিকরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করে মারমুখি হয়ে ইপিজেডের গেটের ভিতরে কারখানা এলাকায় প্রবেশ করে ঢিল ও ইট পাটকেল ছুড়তে থাকে। শ্রমিকরা মারমুখী হয়ে এ সময় কারখানায় ভাংচুরের চেষ্টা চালায়। এ সময় ইপিজেডের নিরাপত্তা কর্মী ও পুলিশের সাথে শ্রমিকদের কয়েক দফা সংঘর্ষ বাধে।
পুলিশ বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার শেল নিক্ষেপসহ লাঠিচার্জ করে বিকেল ৩ টার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় কয়েকজন শ্রমিক ও ইপিজেডের নিরাপত্তাকর্মী কমবেশী আহত হয়েছেন।
মোংলা থানার ওসি কেএম আজিজুল ইসলাম বলেন, সরকারী সম্পত্তি রক্ষায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালালে বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকরা বেপরোয়া হয়ে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বেশ কয়েকজন শ্রমিককে আটক করে থানায় আনা হয়েছে।
এদিকে ভিআইপি ফ্যাক্টরীর মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, শ্রম আইন মেনে অগ্রিম বেতন ও ঈদ বোনাস পরিশোধ করে শ্রমিকদের ছাঁটাই করা হয়েছে। তার পরও কিছু উশৃংখল শ্রমিক বিনা উস্কানীতে ফ্যাক্টরীতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর চালায়। এ ব্যাপারে তারা আইনের আশ্রয় নেবেন।