২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার,সকাল ১০:১৪

ময়ূর নদী বাঁচাতে জোয়ার ভাটা নিশ্চিতে নদী খননের বিকল্প নেই

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৪

  • শেয়ার করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক. বাগেরহাট: ময়ূর নদী বাঁচাতে জোয়ারভাটা নিশ্চিত করতে নদীর উৎসস্থল অর্থাৎ বিল ডাকাতিয়া হতে সংযোগস্থল অর্থাৎ রূপসা নদীর দশ গেট পর্যন্ত খনন করার দাবিতে কর্মসূচী গ্রহণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), খুলনা শাখার উদ্যোগে প্রস্তুতি সভা গতকাল বুধবার বিকেলে নগরীর সোনাডাঙ্গাস্থ দারুস সালাম মহল্লা সংলগ্ন ময়ূর নদীর তীরে অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় বক্তারা বলেন, নদীর অংশবিশেষ খনন করে একটি নদী বাঁচানো বা পূণরুদ্ধার সম্ভব নয়। নদী বাঁচাতে এর অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করা অনস্বীকার্য। ময়ূর নদী বাঁচাতে হলে এ নদীর উজানের বিল ডাকাতিয়া সংলগ্ন ক্ষেত্রখাল বা খুদিয়ার খাল এবং ভাটা মুখের ময়ূর নদীর শেষ সীমানা তথা আলুতলা ১০ গেট পর্যন্ত সম্পূর্ণ নদী পূণরুদ্ধার এবং খনন করতে হবে। কিন্তু বর্তমানে শুধুমাত্র বয়রার শ্মশানঘাট থেকে গল্লামারী বুড়ো মৌলভীর দরগাহ সংলগ্ন ত্রিমোহনী পর্যন্ত খননের যে প্রক্রিয়া চলথে তাতে নগরীর জলাবদ্ধতা দূর হওয়া নিয়ে সংশয় রয়েছে। তাছাড়া নদীতে জোয়ারভাটা না থাকলে এ খনন কোন কাজে আসবে না। নদীর সংযোগ খাল এবং অন্যান্য নদী খনন না করে এর অংশবিশেষ খনন করে নদী বাঁচানোর চিন্তা সম্পূর্ণ অবাস্তব বলেও বক্তারা উল্লেখ করেন। বক্তারা বলেন, এতে অর্থ অপচয় ছাড়া তেমন কিছুই হবে না।
অন্যদিকে নদীর পানি না সেঁচে পানির মধ্যে নদী খননের কাজ পরিচালনার প্রতিবাদ জানিয়ে নদী শুকিয়ে সঠিকভাবে খনন কাজ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। বক্তারা ময়ূর নদী খনন প্রকল্প চলমান অবস্থায় উজানের খুদিয়ার খাল এবং ভাটির ময়ূরের শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ নদী খনন প্রকল্প গ্রহণ করে পুরো নদীটিকে একটি সমন্বিত প্রকল্পের আওতায় এনে জোয়ার এবং ভাটার সময় উভয় দিক থেকে স্বাভাবিক প্রবাহ নিশ্চিত করার আহ্বান জানান। সংগঠনের জাতীয় পরিষদ সদস্য ও খুলনা শাখার সমন্বয়কারী পরিবেশবিদ অ্যাডভোকেট মোঃ বাবুল হাওলাদার এর সভাপতিত্বে এবং সদস্য ও মানবাধিকার সংগঠক নাগরিক নেতা এস এম দেলোয়ার হোসেন এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন বিএফইউজে’র সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য ও দৈনিক পূর্বাঞ্চলের সিনিয়র রিপোর্টার এইচ এম আলাউদ্দিন, রাসটিকের নির্বাহী পরিচালক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোড়ল নূর মোহাম্মদ, শিক্ষক নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা নিতাই পাল, উন্নয়ন সংগঠক মোঃ রুস্তম আলী হাওলাদার, ১৮ নং ওয়ার্ড সমাজ উন্নয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ সজল আহমেদ আলী, উন্নয়ন সংগঠক আফজাল হোসেন রাজু, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ লিয়াকত আলী খান প্রমুখ।

  • শেয়ার করুন