প্রকাশিত: জুন ৪, ২০২৫
নিজস্ব প্রতিবেদক. বাগেরহাটের রামপালে নদী ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারণ করেছে। ভাঙ্গনের কবলে পড়া তিন গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। টেকসই বেড়ী বাঁধের দাবীতে বুধবার (০৪ জুন) বেলা ১১ টায় উপজেলার রোমজাইপুর গ্রামের পূর্ব পাড়ায় ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের নারীপুরুষসহ এলাকাবাসী এ মানববন্ধন করেন। এলাকাবাসি পানি সম্পদ মন্ত্রাণালয় ও নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাগণের মাধ্যমে দ্রুত গ্রাম রক্ষা বাঁধের দাবী জানিয়েছেন।
মানববন্ধন বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)’র খুলনা বিভাগীয় নেটওয়ার্ক সদস্য এম, এ সবুর রানা, বৈশম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বাগেরহাট জেলা নেতা ফাত্তাইন নাইম, সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য রেনা বেগম হেনা, পরিবেশবিদ এমজে মাহাফুজ, এমজে মো ফিরোজ, তুহিন মোল্লা, সন্ধা রানী গাইন প্রমুখ।
মানববন্ধনে ক্ষতিগ্রস্থরা জানান, মৃতপ্রায় মোংলা-ঘোষিয়াখালী চ্যানেলটি খনন করে নাব্যতা ফিরিয়ে আনা হয়। খনন কালে নকঁশা অনুযায়ী খনন না করে ত্রুটিপূর্ণভাবে চলমান নদী আঁকাবাঁকা অবস্থায় খনন করা হয়। এ ছাড়াও নদী খননে ডিডিপির নকঁশা অনুসরণ করা হয়নি। এছাড়াও রোমজাইপুর গ্রামের উত্তর পাশ দিয়ে অত্যান্ত অপরিকল্পিতভাবে একটা লুফ কাট দিয়ে ৫ কিলোমিটারের একটি লম্বা বাঁক কেটে সোজা করা হয়। উক্ত লুফ কাটটি রোমজাইপুর গ্রামের দক্ষিণ পাশ দিয়ে সোজা খনন করা হলে পুরো রোমজাইপুর, সিংগড়বুনিয়া ও পুটিমারী গ্রাম রক্ষা হতো।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)’র খুলনা বিভাগীয় নেটওয়ার্ক সদস্য এম, এ সবুর রানা বলেন, বিগত সরকারের নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের তৎকালিন মন্ত্রী শাহাজাহান খান, তারা অধিনস্থ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ ও খুলনা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র তালুকদার আ. খালেক ব্যাপকভাবে লুটপাট করায় চ্যানেলটি ত্রুটিপূর্ণভাবে খনন করা হয়।একারনে রোমজাইপুর এলাকায় নদী ভাঙ্গ তীব্র আকার ধারন করছে। অচিরেই এই বর্ষা মৌসুমে জরুরী মেরামতসহ দীর্ঘ মেয়াদী গ্রাম রক্ষা বাধের জন্য জোরালো দাবী করেন।
এ বিষয়ে রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজ তামান্না ফেরদৌসি এর সাথে কথা বলতে চাইলে এ বিষয়ে তিনি কোন কথা বলতে চাননি।
তবে বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান মোহাম্মদ আল বিরুনী বলেন, ভাঙ্গন কবলিত স্থান পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।