প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৫
ওয়ালি রহমান, বাগেরহাট. সৌদি আরবের বাসিন্দাকে নিয়ে হেলিকপ্টারে চড়ে বাগেরহাটের শরনখোলা উপজেলার চালিতাবুনিয়া নিজ গ্রামের বাড়ি এসেছেন মো. রাজু ফরাজী নামের এক প্রবাসী বাংলাদেশি। হেলিকপ্টার দেখতে স্থানীয় উৎসুক জনতা ভিড় করে। এসময় গুড বাংলাদেশ বলে অনুভুতি প্রকাশ আলসামারি সাদ্দাম জাহিদ।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার চালিতাবুনিয়া গ্রামের একটি মাদ্রাসা সংলগ্ন মাঠে হেলিকপ্টারে এসে নামেন তাঁরা। সৌদি আরবের ওই নাগরিকের নাম আলসামারি সাদ্দাম জাহিদ। সৌদি প্রবাসী রাজু ফরাজী সাউথখালী গ্রামের শাজাহান ফরাজীর ছেলে। তিনি ৮ বছর আগে সৌদি আরবের দাম্মাম শহরের জুবাইল এলাকায় গিয়েছিল।
রাজু ফরাজীর জানান, কয়েক বছর ধরে সৌদি আরবের দাম্মাম শহরের জুবাইল এলাকার বাসিন্দা আলসামারি সাদ্দাম জাহিদের মালিকানাধীন একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। চাকরির সুবাদে মালিকের (কফিল) সঙ্গে সুসম্পর্ক হয় রাজুর । বুধবার সাড়ে ৭ টার দিকে দাম্মাম থেকে বাংলাদেশ ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসেন তাঁরা। এরপর বেলা সাড়ে ১২টার দিকে হেলিকপ্টার ভাড়া করে ঢাকা থেকে শরনখোলায় আসেন।
এদিকে প্রবাসী রাজুর সঙ্গে তাঁর সৌদি মালিকের গ্রামে আসার খবরে সকাল থেকেই উৎসুক সিএসবি মাদ্রার পাশে মাঠে ভিড় করেন। সৌদি থেকে আসা নাগরিককে বরণ করে নিতে নেওয়া হয় ব্যাপক প্রস্তুতি। নিরাপত্তার জন্য শরনখোলা থানা পুলিশের একটি টিম দায়িত্বে নিয়োজিত থাকে। হেলিকপ্টার থেকে মাঠে নামার সঙ্গে সঙ্গে হইহুল্লোড় লেগে যায়। এ সময় স্থানীয় রাজু ফরাজীর বাবা শাজাহান ফরাজীসহ স্থানীয় লোকজন ফুলেল শুভেচ্ছা জানান আলসামারি সাদ্দাম জাহিদকে। এসময় বিশ্বঐতিহ্য ষাটগম্বুজ মসজিদের রেপলিকা হাতে তুলে দেওয়া হয়।
স্থানীয় সমাজ সেবক লিটন হাওলাদার বলেন, দেশে অবস্থানরত বাংলাদেশী প্রবাসীরা যেন রাজুর মতো তাদের কপিলের সাথে সুসম্পর্ক রাখে এবং দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে।
কপিল আলসামারি সাদ্দাম জাহিদ বলেন, রাজু অত্যন্ত ভালো ছেলে আমি রাজুকে পছন্দ করি রাজু আমার সকল ব্যবসা-বাণিজ্য দেখাশোনা করে আমি রাজুর মতো আরো শ্রমিক বাংলাদেশ থেকে নিতে চাই৷ প্রথমদিন এখানে এসে অনেক ভাল লেগেছে। আমার পছন্দের একটি দেশ বাংলাদেশ। এসময় গুড বাংলাদেশ বলে অনুভুতি প্রকাশ আলসামারি সাদ্দাম জাহিদ।
প্রবাসী রাজু ফরাজীর বলেন, আমার কফিল (মালিক) একজন ভ্রমণপিপাসু মানুষ। তিনি বাংলাদেশ খুব পছন্দ করেন। কাজ করার সময় প্রায়ই বলতেন, আমি তোমার দেশে যাব। তাই তাঁকে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আমরা আগে থেকে চিন্তা করি তাঁকে নিয়ে হেলিকপ্টারে করে গ্রামে যাব। সে জন্য ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে করে চলে আসি। তিনি এক সপ্তাহ বাংলাদেশে থাকবেন। বিশ্বঐতিহ্য সুন্দরবন ও ষাটগম্বুজ ঘুরে দেখাবো। পরে একসঙ্গে আবার সৌদিতে চলে যাব।