২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার,দুপুর ২:১০

বাগেরহাট হাসপাতালে বেড়েছে চুরি ও ছিনতাই

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৯, ২০২৪

  • শেয়ার করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক.বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে বেড়েছে চুরি ও ছিনতাইয়ের মত ঘটনা। রোগী ও স্বজনদের কাছ থেকে টাকা, মোবাইল, দামি গয়নাসহ নানা মুল্যবান সামগ্রী হাতিয়ে নেয় একটি চক্র। দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবী ক্ষতিগ্রস্থ ভুক্তভোগী ও হাসপাতালের সংশ্লিষ্টদের। চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনার বিষয়ে সকলকে সচেতন হওয়ার আহবান হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের।

সরেজমিন হাসপাতাল ঘুরে রোগি ও স্বজনদের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রতিদিন জেলা হাসপাতালে বর্হিবিভাগের শত শত নানা বয়সী  রোগিরা  চিকিৎসা সেবা নিতে আসে। দীর্ঘ লাইন পড়ে চিকিৎসকদের রুমের সামনে। রোগিদের উপচে পড়া ভিড়ে অনেকে ক্লান্ত হয়ে পড়েন। এরই সুযোগে একটি চক্র নারীদের ব্যানিটি ব্যাগ থেকে থেকে টাকা, মোবাইল, দামি গয়নাসহ নানা মুল্যবান সামগ্রী হাতিয়ে নেয়। এদিকে  হাসপাতালের জরুরী বিভাগের অক্সিজেন মিটার ও নার্সদের মোবাইলসহ নানা সামগ্রী চুরির ঘটনা ঘটছে। বাদ যাচ্ছে না ভর্তি রোগি ও স্বজনরা।

হাসপাতালে ভর্তি রোগি সালমা বেগমের মা সায়লা বেগম বলেন, মেয়ে হাসপাতালে ভর্তি মেয়ের জন্য ওষুধ সংগ্রহ করার জন্য এক নারী আমার বোরকার পকেট থেকে ২০০০ হাজার টাকা নিয়ে আরেক জনের হাতে দেয়। এসময় তাকে ধরে ফেললে সে অস্বীকার করে। আমাদের হাসপাতালে কোন নিরাপত্তা নেই।

লুনা নামের এক নারী তার সন্তান ডাক্তারের চেম্বারের সামনে লাইনে দাড়িয়ে থাকা অবস্থা ব্যাগ থেকে ৫ হাজার ৩ শো টাকা নিয়ে যায়। লুনা বেগম বলেন, চিকিৎসা নিতে এসে এভাবে যদি টাকা খোয়া যায়,তাহলে কোথায় যাবো।  কিভাবে বাড়ি যাবো ভ্যান ভাড়া নেই। তার চোখ মুখে যেন এক অসহাত্বের  ছাপ।

হাসপাতালে সেবা নিতে আসা শেখ বাদশা বলেন,  চিকিৎসা নিতে আসা নারীদের টার্গেট করে চোর। বিভিন্ন সময়ে সেবা নিতে এসে শুধু এই হাসপাতাল থেকেই অর্ধশতাধিক নারীর স্বর্ণের চেইন ও মোবাইল খোয়া গেছে।এছাড়া হাসপাতাল প্রশাসনকে মৌখিকভাবে জানানো হলেও তারা প্রতিনিয়তই এড়িয়ে যাচ্ছেন বিষয়টি। ফলে দিন দিনই বাড়ছে চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনা।

বাগেরহাট জেলা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মোজাফফর হোসেন বলেন, প্রায়ই হাসপাতালে  চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। রোগিদের উপচে পড়া ভিড়ের মধ্যে একটি চোর চক্র টাকা ও মোবাইল হাতিয়ে নেয়। আমরা মাঝে মধ্যে চোরদের ধরে অঅমা পুলিশে দেই। তারপর নিরাপত্তা কর্মী না থাকায় এধরনের ঘটনা ঘটেছে। দ্রুত নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগের দাবী জানিয়েছি।

বাগেরহাট জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. অসীম কুমার সমাদ্দার বলেন, হাসপাতালে যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকলেও হাসপাতালের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়াকে ব্যবহার করে রোগীর স্বজন বা আত্মীয় পরিচয় দিয়ে দুর্বৃত্তরা এসব অপকর্ম করে যাচ্ছে। চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও স্বজনদের এ ব্যাপারে বারবার সতর্কতা করা হচ্ছে।

বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, হাসপাতালে চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনার খবর আমরা জানতে পেরেছি। তবে হাসপাতালে অল্প সময়ের মধ্যে নিরাপত্তা জোরদার করা হবে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

  • শেয়ার করুন