নিজস্ব প্রতিবেদক. বাগেরহাটের ফকিরহাটে সুরাইয়া শারমিন দৃষ্টি (৩৩) নামের গৃহবধু বিয়েতে রাজি না হওয়া তাকে কৌশলে ডেকে এনে পরিকল্পিত ভাবে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে প্রেমিক সাইদুর রহমান। এ হত্যাকান্ডে অংশ নেয় আরও দুই সহযোগি। পুলিশ এঘটনায় জড়িত তিনজনকে বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, নড়াইল এলাকার সাইদুর রহমান (৩৫), ফকিরহাট জয়পুর এলাকার মাহিন্দ্রা চালক আজিজুর রহমান নয়ন (৩২) ও মাহিন্দ্রা চালক শহিদুর রহমান (৪৫)।

বুধবার বিকেলে ফকিরহাট থানায় এক প্রেস ব্রিফিং এ তথ্য নিশ্চিত জানান ফকিরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আলমগীর কবীর।

ফকিরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আলমগীর কবীর জানান, নড়াইল জেলা সদর উপজেলার আলাদাতপুর এলাকার মৃত আব্দুল করিম মোল্লার মেয়ে নিহত সুরাইয়া শারমিন দৃষ্টির সাথে সাইদুর রহমানের দীর্ঘদিন যাবৎ পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। গত ৩১ জানুয়ারি দৃষ্টি তার পূর্বের স্বামীকে ছেড়ে সাইদুর রহমানকে বিয়ে করার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। বিয়েতে রাজি না হওয়ায় কৌশলে  সাইদুর রহমান তার বান্ধবীর স্বামী মাহিন্দ্রা চালক আজিজুর রহমান নয়নের বাড়ী বাগেরহাটের ফকিরহাটে আসেন। একই সময় প্রেমিক সাইদুর রহমান উপস্থিত হয়। ওইদিন রাত ১১টার দিকে ওই বাড়িতেই সুরাইয়া শারমিন দৃষ্টিকে ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করেন সাইদুর রহমান নিজেই। পরে আজিজুর রহমান নয়ন ও অপর এক সহযোগি মাহিন্দ্রা চালক শহিদুর রহমান তিনজন মিলে পার্শ্ববর্তী জয়পুরের সাবেক ইউপি সদস্য সলেমান শেখের বাড়ির পুকুরে ইট বেঁধে মরদেহ ফেলে দেয়।

তিনি আরও বলেন, তথ্য প্রযুক্তির মাধমে প্রধান আসামী সাইদুর রহমানকে নড়াইল এলাকায় থেকে ও অন্য দুইজনকে বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার সকালে নিখোঁজের চারদিন পর ফকিরহাট উপজেলার নলধা-মৌভোগ ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য সলেমান শেখের পুকুর থেকে শরীরে ইট বাঁধা ও গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগানো অবস্থায় সুরাইয়া শারমিন দৃষ্টির মরদেহ উদ্ধার করে।এ ঘটনায় নিহতের মা সবেজান বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামী করে ফকিরহাট মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।