১০ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার,সন্ধ্যা ৭:১২

ষাটগম্বুজ মসজিদের শহরে পর্যটনের নতুন দিগন্ত উন্মোচন

প্রকাশিত: মে ১০, ২০২৫

  • শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক. বিশ্ব ঐতিহ্য ষাটগম্বুজ মসজিদ ও আর নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি বাগেরহাটের পযটন শিল্পের প্রসারে অত্যাধুনিক সুবিধা সম্বলিত ‘পর্যটন মোটেল এ্যান্ড ইয়ুথ ইন’-এর বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। শুক্রবার (৯ মে ) বিকেলে  স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি ভার্চুয়ালিযুক্ত হয়ে এই মোটেলের উদ্বোধন করেন।পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান মিজ শাহিন সুলতানার সভাপতিত্বে মোটেলের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মিস নাসরীন জাহান, অতিরিক্ত সচিব ফাতেমা রহিম ভীনা।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন, সাবেক সচিব ডঃ মশিউর রহমান, ডঃ ফরিদুল ইসলাম, বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক আহমেদ কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার তৌহিদুল আরিফ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির গবেষনা বিষয়ক সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহবায়ক এটিএম আকরাম হোসেন তালিম, সাবেক সভাপতি এমএ সালাম, জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা মোঃ রেজাউল করিম, বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ কামরুজ্জামান, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা সাদ্দাম হোসেন প্রমুখ।

এছাড়া উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিএনপি নেতা খান মনিরুল ইসলাম, জেলা মহিলা দলের সভাপতি শাহিদা আক্তারসহ বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও ট্যুরস অপরেটরদের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে নাম ফলক উন্মোচন ও ফিতা কেটে আনুষ্ঠানিকভাবে মোটেলে প্রবেশ করেন অতিথিগণ।

২০১৭ সালে বাগেরহাটের রণবিজয়পুরে খানজাহান আলী (রহ)এর মাজারের প্রধান ফটকের কাছে ৩২ শতাংশ জমিতে মোটেলটি নির্মান শুরু হয়।২০২১ সালের জুন মাসে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও, কয়েকবার কাজ বন্ধ ও ঠিকাদার পরিবর্তনের পরে প্রায় ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে চলতি বছরের প্রথম দিকে এই মোটেলের নির্মান শেষ হয়।৭ তলা বিশিষ্ট এই ভবনে ৩০টি কক্ষ, ৫০ আসন বিশিষ্ট রেষ্ট্রুরেন্ট, অফিস রুম, অভ্যার্থ্যণা কক্ষ, বারবি কিউ রুম ও গাড়ি পার্কিংয়ের সুবিধা থাকবে।পুরো ভবনের আয়তন ২ হাজার ৭‘শ ৬০ বর্গ মিটার।

মোটেলটির  ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে স্ব-রাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এর সম্মানিত সিনিয়র সচিব নাসিমল গনি বলেন, বানিজ্যিকভাবে মোটেলটির উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে এ অঞ্চলের পর্যটন শিল্প আরও বিকশিত হবে এবং এখানকার পর্যটন সম্ভবনাকে কাজে লাগিয়ে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব হবে। দেশের জিডিপিতে পর্যটন শিল্পের অবদান আরও বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে মোটেলটি।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মিস নাসরীন জাহান বলেন, মোটেলটি সফলভাবে পরিচালনা করা গেলে বাগেরহাট অঞ্চলে আগত ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য নিরাপদ, আরামদায়ক আবাসন ও খাবার নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। এছাড়া মোটেলটি বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের রাজস্ব আয় বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে নিঃসন্দেহে। তিনি বলেন, এই আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন মোটেলটি শুধু পর্যটকদের জন্য নয়, বরং স্থানীয় অর্থনীতির উন্নয়নে, কর্মসংস্থানে, এবং বাগেরহাটকে একটি আন্তর্জাতিক পর্যটন হাব হিসেবে প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

  • শেয়ার করুন