১৭ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার,ভোর ৫:১৯

মোরেলগঞ্জে জমি সংক্রান্ত বিরোধে স্বামী-স্ত্রী-ছেলেকে মারধর, বাড়িঘর ভাংচুর

প্রকাশিত: আগস্ট ৩, ২০২৩

  • শেয়ার করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক. বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার কচুবুনিয়া এলাকায় জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে স্বামী-স্ত্রী ও ছেলেকে মারধর এবং বাড়িঘর ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মারধরের শিকার আবুল কালাম আজাদ ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে মোরেলগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমার আপন দুই বোনের কাছ থেকে আমার ছেলে সজল মাহমুদ ৪৮ শতক জমি ক্রয় করেছে। গেল শুক্রবার (২৮ জুলাই) ওই জমি নিয়ে আমার বড় ভাই আব্দুর সবুর শেখ ও তার ছেলেদের সাথে বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে স্থানীয় জালাল শেখ, আবু বকর, রাকিব, আমার বড় ভাই আব্দুর সবুর শেখসহ ২৫-২৬ জন এসে আমাদের উপর হামলা করে। তারা আমাদের ঘরের বেরা ও জানালা ভেঙ্গে ফেলে। ঘরে ঢুকে ফার্নিচার, স্বর্নালংকার ও নগদ দুই লক্ষ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। তাদের হামলায় আমি, আমার ছেলে সজল মাহমুদ ও আমার স্ত্রী গুরুত্বর আহত হয়েছি। আমি এই অন্যায় হামলা ও লুটপাটের বিচার চাই।
আবুল কালাম আজাদের বড় বোন জহুরা বেগম বলেন, পৈত্রিক সূত্রে পাপ্ত জমি, আমি আমার ভাইয়ের ছেলে সজল মাহমুদের কাছে বিক্রি করেছি। কিন্তু ওই জমিতে আমার ভাতিজা ও ভাই ঘর বানাতে যায়। তখন আমার বড় ভাই আব্দুর সবুর শেখসহ কয়েকজন এসে আমার ভাই , ভাতিজা ও ভাবির উপর হামলা করে। আমার ভাইয়ের ঘর ভাংচুর ও বেশকিছু কাগজপত্রও নিয়ে গেছে তারা। তাদের বিচার হওয়া দরকার।
এদিকে আবুল কালাম আজাদের অভিযোগ অস্বীকার করে জালাল শেখ বলেন, আবুল কালাম আজাদ ও তার ভাই সবুরদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধলে আমরা ঠেকাতে গেছিলাম। তখন আবুল কালাম আমার হাতে কোপ দিয়েছে।
আবুল কালামের বড় ভাই আব্দুর সবুর বলেন, আমরা কাউকে মারিনি, আমার ছোট ভাই আবুল কালাম আজাদ, তার ছেলে ও আত্মীয়রা আমাদের মারধর করেছে। আমরা থানায় অভিযোগ করেছি।
মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ সাইদুর রহমান বলেন, কচুবুনিয়া এলাকায় মারধরের ঘটনায় দুই পক্ষই অভিযোগ দিয়েছে। তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

  • শেয়ার করুন