প্রকাশিত: আগস্ট ১২, ২০২৩
নিজস্ব প্রতিবেদক. বাগেরহাটের ফকিরহাট থেকে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দেশি অস্ত্র, সরঞ্জামসহ আন্ত:জেলা ডাকাত দলের পাঁচ সদস্যকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। শুক্রবার গভীর রাতে ফকিরহাট উপজেলার কাটাখালী মোড়ের আমজাদ হোসেনের বালুর মাঠ এলাকা থেকে পুলিশ এদের গ্রেপ্তার করে। এরা দেশের বিভিন্ন জেলায় ডাকাতি করে আসছে বলে পুলিশ দাবি করেছে। শনিবার ফকিরহাট থানার এসআই প্রীতিশ রায় বাদী হয়ে থানায় পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করেছেন।
শনিবার দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং করে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানানো হয়েছে। এসময়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার) রাসেলুর রহমানসহ পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
তারা হলেন, বাগেরহাট সদর উপজেলার পাতিলাখালী গ্রামের প্রয়াত নূর মোহম্মদ শেখের ছেলে জালাল শেখ (৫৭), একই গ্রামের আব্দুল কালাম শেখের ছেলে কাদের শেখ (২৮), যশোরের অভয়নগর উপজেলার ধনিরগাঁতি গ্রামের মোতালেব শেখের ছেলে কামরুল ইসলাম (৪০), যশোরের কোতয়ালী হামিদপুর মোকছেদ আলী বিশ^াসের ছেলে ইকতিয়ার বিশ^াস (৪২) এবং নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার কুন্দসী গ্রামের ধলা গাজীর ছেলে জাকির গাজী (৫৬)। এর মধ্যে বাগেরহাটের জালাল ও যশোরের কামরুলের বিরুদ্ধে একাধিক ডাকাতির মামলা রয়েছে।
উদ্ধার হওয়া ডাকাতির কাজে ব্যবহ্নত সরঞ্জামের মধ্যে রয়েছে একটি কাঠের তৈরি দেশি পিস্তল, একটি গুলি, লোহার রড়, চাঁপাতি, লোহার হাতুড়ি, লোহার সেলাই রেঞ্জ, চাকু, প্লাস, হ্যাক্সো বেøড, দুটি ড্রিল মেশিন, মাল্টি চাকু, স্ক্রু ড্রাইভার, গ্যাসের বার্নার ও কাটার।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার কে এম আরিফুল হক সাংবাদিকদের বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারি একটি ডাকাতদল বাগেরহাটে ডাকাতির জন্য অবস্থান করছে এই সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের কয়েকটি দল অভিযানে নামে। জেলার ফকিরহাটে অবস্থান করছে এটি নিশ্চিত হয়ে অভিযান চালিয়ে তাদের সশস্ত্র অবস্থায় গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করেছে দাবি করে এই পুলিশ কর্মকর্তা আরো বলেন, তারা দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘটা ডাকাতিতে জড়িত রয়েছে। গত ২৫ জুন রাজশাহী মেট্রোপলিটন এলাকার একটি কোল্ড স্টোরে সংগঠিত হওয়া ডাকাতির ঘটনায়ও এরা জড়িত রয়েছে। রংপুর ও কুড়িগ্রামেও ডাকাতি করেছে। এদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহ্নত বিপুল পরিমান সরঞ্জাম পেয়েছি। এই চক্রে অন্তত ১০ জন জড়িত। এর মধ্যে বাগেরহাটের জালাল ও যশোরের কামরুলের বিরুদ্ধে একাধিক ডাকাতির মামলা রয়েছে। এদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে ধারনা করছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।