নিজস্ব প্রতিবেদক. সুন্দরবনে হরিণ শিকারী ধরতে গিয়ে তিন বনরক্ষী খালে ও এক শিকারী গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।বনে তল্লাশি চালিয়ে তিনশত ফুট হরিণ শিকারের ফাঁদ ও বেন্দি জালসহ কয়েক মন মাছের রেণু পোনা উদ্ধার করা হয়। বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ভোররাতে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের কচিখালি অভয়ারণ্য এলাকার চান্দের আড়া খালে এ ঘটনা ঘটে। গুলিতে আহত জয়নাল মাঝি নামের ওই শিকারী বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সে বরগুনার জেলার পাথরঘাটা উপজেলার রুহিতা গ্রামের আঃ রশিদ মাঝির ছেলে।

এদিকে চোরা শিকারীদের ট্রলারের ধাক্কায় খালে পড়ে যাওয়া বনরক্ষী নজরুল ইসলাম, অসীত ও অজিত ভাগ্যক্রমে বেচে গেছেন।

শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) শেখ মাহাবুব হাসান বলেন,একদল হরিণ শিকারী কচিখালি অভয়ারণ্য এলাকার চান্দের আড়া খাল এলাকার বনে হরিণ শিকারের জন্য ফাঁদ পেতে রাখে। এরপর ওই খালে মাছ ধরার অজুহাতে নিষিদ্ধ বেন্দি জাল পেতে একটি ট্রলারে অবস্থান করছিল। বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের স্মার্ট পেট্রোলিং দল নিয়মিত টহল দেয়ার সময় ওই ট্রলারটি দেখে পেয়ে চ্যালেঞ্জ করে।এসময় বন রক্ষীদের দেখতে পেয়ে শিকারীরা ট্রলার যোগে দ্রুত পালানোর চেষ্টা করে। এসময় বনরক্ষীরা স্পীড বোর্ডে নিয়ে তাদের ধাওয়া করে। বনরক্ষীরা কাছাকাছি গেলে শিকারী দল ট্রলার দিয়ে সজোরে তাদের বোর্ডকে ধাক্কা দিলে তিন বনরক্ষী পানিতে পড়ে যায়। এতে স্পিড বোর্ডে পানি উঠে যায় এবং আংশিক ভেঙ্গে যায়। এসময় পানিতে পড়া বনরক্ষীদের উদ্ধার করতে গেলে শিকারীরা ট্রলার নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে বনের ওই এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে তিনশো ফুট হরিণ শিকারের ফাঁদ ও বেন্দি জালসহ কয়েক মন মাছের রেণু উদ্ধার করা হয়।এঘটনায় বন বিভাগের পক্ষ থেকে সরকারি কাজে বাধাঁদান ও বনে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে এসিএফ জানান।

তিনি আরও জানান, জয়নাল মাঝি নামের এক শিকারীর গুলিতে আহত হয়েছে তা নিশ্চিত নয়। ট্রলারে পড়ে গিয়েও আহত হতে পারে।

তবে মুঠোফোনে জয়নাল মাঝি নিজেকে একজন জেলে দাবী করে বলেন, কচিখালির ওই এলাকায় মাছ করছিলাম এমন সময় বনরক্ষীরা এসে তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। গুলিতে তার ডান হাতের কনুইয়ের উপর থেকে ছিড়ে যায়। বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।