২০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার,রাত ৯:০৬

নববর্ষের প্রথম আলোতেই ‘মায়ের কোল’ জুড়ে এলো ছেলে সন্তান

প্রকাশিত: এপ্রিল ২০, ২০২৫

  • শেয়ার করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক. বাংলা নববর্ষের প্রথম প্রহরে যখন চারপাশে আনন্দ-উল্লাস আর মঙ্গল শোভাযাত্রার রঙে সেজেছে দেশ, ঠিক তখনই বাগেরহাটের কচুয়ায় এক মা তার জীবনের সবচেয়ে রঙিন সকালটায় আলিঙ্গন করলেন জীবনের শ্রেষ্ঠ উপহার—একটি ফুটফুটে ছেলে সন্তান। নতুন বছরের প্রথম সূর্য উঠতেই ‘মায়ের কোল’ জুড়ে এলো নতুন অতিথি, খুশির জোয়ার বয়ে গেল পরিবারজুড়ে।

পহেলা বৈশাখের রঙিন উৎসবে নতুন সুর যোগ করল এক নিষ্পাপ চিৎকার। বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার লাড়িপাড়া ইউনিয়নের দোবারিয়া এলাকার ফারহানা আক্তার বিথী ও মেহেদী সরদার দম্পত্তির প্রায় তিন বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে, বাংলা নববর্ষের প্রথম সকালেই তাদের কোলজুড়ে এলো ফুটফুটে এক ছেলে সন্তান।

শহরের ‘সূর্যের হাসি ক্লিনিকে’ ১৪ই এপ্রিল সকাল ৭টা ১০ মিনিটে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে শিশুটির জন্ম হয়। নবজাতককে ঘিরে পরিবারে এখন চলছে আনন্দ আর উৎসব।

ফারহানা আক্তার বিথী ১৩ এপ্রিল রাত ১১টার দিকে ক্লিনিকে ভর্তি হন। ক্লিনিকের মেডিকেল অফিসার ডা. রিফফাত আরা শীলা জানান, “নববর্ষের এই শুভক্ষণে নতুন প্রাণের আগমন আমাদেরও আপ্লুত করেছে। মা ও সন্তান দুজনেই সুস্থ আছেন।”

শিশুর খালামণি ফারজানা আক্তার সাথী আবেগঘন কণ্ঠে বলেন, “আমাদের দুই বোনের সংসারে কোনো ভাই নেই। বাবা সবসময় দোয়া করতেন যেন আমাদের ঘরে ছেলে সন্তান আসে। আল্লাহ তাঁর প্রার্থনা কবুল করেছেন। আমারও প্রথম সন্তান ছেলে, আজ আমার বোনেরও ছেলে সন্তান হলো।”

শিশুটির নানি হালিমা বেগম বলেন, “আজ বাংলা নববর্ষে আমার মেয়ের ঘরে ছেলে সন্তান হয়েছে, এর চেয়ে বড় আনন্দ আর কিছু হতে পারে না। আমি খুশিতে ভাষা হারিয়ে ফেলেছি।”

শিশুর মা ফারহানা আক্তার বিথী বলেন, “আল্লাহ আমার মনের আশা পূরণ করেছেন। এই নববর্ষে এমন এক উপহার পেয়ে আমি আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ।”

এদিকে, বাগেরহাট জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক অসীম  সমদ্দার জানান, পহেলা বৈশাখের প্রথম প্রহরে ৫.৪৫ থেকে ৮.৪৫ মিনিট পর্যন্ত জেলা হাসপাতালে কোনো নবজাতকের জন্ম হয়নি।

  • শেয়ার করুন