৩০শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার,সকাল ৭:২৯

বাগেরহাটে ওএমএসের পন্য নিতে ভোগান্তিতে স্বল্প আয়ের মানুষ

প্রকাশিত: অক্টোবর ৩, ২০২৪

  • শেয়ার করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক. ৫ আগষ্ট দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর ওএমএসের বাগেরহাটে ডিলাররা আত্মগোপনে থাকায় চাল বিক্রি নিয়ে হিমশিম খাদ্যবিভাগ। চাহিদা অনুযায়ী মিলছে না ওএমএস-এর চাল ও আটা।নিত্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় বাগেরহাট সদর খাদ্যগুদাম (ওএমএস) চাল-আটা কিনতে স্বল্প আয়ের মানুষের দীর্ঘ লাইন। চাহিদার চেয়ে কয়েক গুণ ভিড় করছেন খাদ্য গুদামের সামনে। ওএমএসের চাল ,আটা নিতে গেলেই অনেককে নিয়মিত কাজকর্ম বন্ধ রাখতে হচ্ছে। কেউ কেউ নির্ঘুম রাত কাটিয়ে ভোরে এসে ওএমএসের পন্য নিতে  লাইনে দাঁড়াচ্ছেন।

খাদ্য গুদামের সূত্র  জানা যায়, পৌরসভার ৯ টি ওয়ার্ডে প্রতিদিন প্রায় ১১শো ক্রেতার মাঝে চাল ও আটা বিক্রি করতে হয়। সপ্তাহে ৫ দিন চলে ওএমএসের কাযর্ক্রম। আগে শুধু নিম্ন আয়ের মানুষ খোলাবাজারের চাল-আটা কিনলেও এখন মধ্যবিত্তরাও এ তালিকায় যুক্ত হয়েছেন। তবে চাউল আটার বরাদ্দ আগের মতোই রয়েছে। তাই লাইনে দাঁড়ানো সবাইকে পন্য দেওয়া হচ্ছে। এ কারণে লাইনে আগে দাঁড়ানো নিয়ে প্রায় প্রতিদিনই হট্টগোল হচ্ছে। যা সামাল দেওয়া দিতে হিমশিম খেতে হয়।

খোলা বাজারে পন্য নিতে আসা আবুল কালাম বলেন,ভোর পাঁচটা থেকে সামনে দীর্ঘ লাইন। দু-ঘণ্টা অপেক্ষা করে  ৪ কেজি চাল কিনেছি। তাতে ১০০ টাকা সাশ্রয় হয়েছে। হাওয়া বেগম নামের নারী বলেন, সকালে এসে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের বাড়িতে রেখে আসছি সকালে খাবারও দিতে পারি নাই ।এখন বারোটা বাজে এখন কি যে ছেলে মেয়েদের রান্না করে ভাত দিতে পারব যদি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে চাল, আটা দিত আমাদের একটু সুবিধা হত।

তুলি বেগম নামের আর ক্রেতা বলেন, আমাদের কষ্ট হলেও সঠিকভাবে খাদ্যগুতামে এসে চাউল নিতে পারছি কিন্তু আগে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে দিত কিন্তু আমরা পেতাম না লাইনে দাঁড়ানোর আগেই বলতো শেষ হয়ে গেছে। যদি আগের মতন এমন হয় তাহলে এখান থেকে কষ্ট হলেও নেওয়া ভালো।

খাদ্য বিভাগের কম্পিউটার অপারেটর মো. আলামিন বলেন, আমাদের এই কার্যক্রম শুরু হয় ফজরের আগ থেকে আর লোক জন ভোর চারটার সময় থেকেই এখানে  এসে লাইন দিতে থাকে। আমাদের আসলে আগের অভিজ্ঞতা ছিল না, কিন্তু  আমরা প্রতিদিন এখানে ১১০০ লোকের চাউল দেওয়া হয়। এখান থেকে কাজ শেষ করতে করতে বিকেল ৫ টা বেজে যায়।

আবার এই কাজ শেষ করে অফিসের কাজ করতে হয়। যদি পৌরসভার সকল ওয়ার্ডে খোলা বাজারে চাল দেওয়া শুরু হয় তাহলে আমাদের এতটা কষ্ট হবে না।

বাগেরহাট খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা  মো. শাকিল আহমেদ বলেন, বাগেরহাট পৌরসভায় সপ্তাহে ৫ দিন প্রায় ৬০০০ ভোক্তাকে প্রতি কেজি চাল ৩০ টাকা এবং প্রতি কেজি আটা ২৪ টাকায় দেওয়া হচ্ছে। ৫ আগষ্ট দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর ওএমএসের বাগেরহাট পৌরসভার ১০ জন ডিলাররা আত্মগোপনে যায়। এরপর থেকে ১৭ দিন ধরে বন্ধ থাকে খোলা বাজারে ওএমএসের চাল বিক্রি। ভোক্তাদের দাবীর প্রেক্ষিতে ২২ আগষ্ট খাদ্য বিভাগ খোলা বাজারে ওএমএসের চাল বিক্রি শুরু হয় ।বাড়তে থাকে ভোক্তাদের সংখ্যা। একারনে কখনও কখনও ৫ কেজির পরিবর্তে ৪ কেজি চাল ও ৪ কেজি আটা পাচ্ছেন ক্রেতারা। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি সবাই দেওয়ার।নতুন নীতিমালা অনুযায়ী ডিলার নিয়োগ দিলে এসব সমস্যা সমাধান হবে বলে জানান জেলা নিয়ন্ত্রক খাদ্য কর্মকর্তা।

  • শেয়ার করুন