২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার,দুপুর ১২:০৮

বাগেরহাটে কাচাঁ মরিচের কেজি ৮০০ টাকা 

প্রকাশিত: জুলাই ২, ২০২৩

  • শেয়ার করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক. বাগেরহাট :  বাগেরহাটে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে কাঁচা মরিচের দাম। মাত্র তিন দিনের ব্যবধানে ৪০০ টাকা থেকে এক লাফে কেজি প্রতি ৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে কাচাঁ মরিচ। প্রত্যাশা অনুয়ায়ী কাচাঁ মরিচ কিনতে না পেরে ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেন ক্রেতারা। অনেকে আবার ১০০ গ্রাম ও ২০০ গ্রাম কাচাঁ মরিচ কিনে বাড়ি ফিরছেন।তবে বিক্রেতারা বলছেন, মোকামে কাচাঁঝাল সংকট থাকায় আড়তে তেমন মরিচ পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে বেশি দামে ক্রয় করে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

শনিবার (১জুলাই) দুপুরে বাগেরহাট শহরের বড় বাজারে ঘুরে এমন চিত্র পাওয়া যায়।

ক্রেতা শেখ আফসার আলী বলেন, খাবার হোটেলের জন্য আধা কেজি কাচাঁ মরিচ কিনতে এসে দেখলাম ৮০০ টাকা এক কেজি মরিচের দাম। তাই ১০০ গ্রাম ৮০ টাকায় কিনে নিলাম। এর আগে কখনও এত টাকা দাম শুনেনি ও দেখিও নাই,।

অপর ক্রেতা সাইমন হাওলাদার বলেন, কাচাঁ মরিচ এখনও সোনার হরিনে পরিনত হয়েছে। আমার বয়সে কোন দিন দেখেনি ৮০০ টাকা কেজি। ঈদের দুদিন আগে ৩০০ টাকা কেজি ছিল। আজ তা বেড়ে ৮০০ টাকা হয়েছে। সকালে নাকি ১০০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। সংকট থাকতেই পারে কিন্তু দাম বাড়বে কেন?। সরকারী মনিটরিং থাকা প্রয়োজন বলে জানান ওই ক্রেতা।

বাগেরহাট শহরের খুচরা সবজি বিক্রেতা শাহিন বলেন, ‘আড়ৎ থেকে সাড়ে ৬ থেকে ৭ শত টাকা দরে পাইকারী কিনে ৮০০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে।কেজি প্রতি এত লাভ প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন,  ত্রেতারা এখন ১০০ গ্রামের চেয়ে বেশি কিনে না। অনেকে আবার দাম শুনে চলে যায়। এখন ২ থেকে ৩ কেজি কাচাঁ মরিচ বিক্রি করতে দুদিন সময় লাগে।এই সময়ে অনেক কাচাঁ মরিচ নষ্ট হয়ে যায়’।

শহরের কাচাঁ বাজারের অলিগলি ঘুরে মাত্র তিনটি দোকানে কাচাঁ মরিচ দেখা যায়। জীবনে এরকম কাচাঁ মরিচের দাম দেখা যায় নায়। কাচাঁ মরিচের সংকট থাকলে দাম বাড়ার যুক্তি কোথায় এমন পশ্ন অনেকের।

বাগেরহাট শহরের কাচাঁ বাজারের বানিজ্যালয়ের আড়ৎদার শেখ আসাদ বলেন, আমরা খুলনা থেকে পাইকারি দরে কিনে এনে আড়তে রাখা হয়। এরপর এখান থেকে আমরা খুচরা বাজারের পাইকারদের কাছে বিক্রি করি। কিন্তু কয়েক দিন ধরে কাচাঁ মরিচ সরবরাহ কম থাকায় খুলনার পাইকারী হাটে না পাওয়ায় মাত্র দুই বস্তা কাচাঁ মরিচ আনা হয়। সকালে আমরাও বাজারে  ৬০০ থেকে সাড়ে ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি’।

  • শেয়ার করুন