প্রকাশিত: জুন ১৩, ২০২৫
আলী আকবর টুটুল, বাগেরহাট. বাগেরহাট শহরের ভৈরব পাড়ের কেবি বাজারে ভিড় ব্যবসায়ী, জেলে ও আড়ৎদাররা। নিষেধাজ্ঞার কারণে দীর্ঘ বিরতির পর আবারও সরগরম হয়ে উঠেছে দক্ষিনাঞ্চলের অন্যতম বৃহত্তম সামুদ্রিক মৎস্য আড়ৎ। ঘাটে নোঙ্গর করা দুই ট্রলার থেকে ঝুড়িতে করে মাছ তুলছেন জেলে ও শ্রমিকরা।ক্রেতা-বিক্রের হাকডাকে মুখরিত সামুদ্রিক মাছের পাইকারি এই হাট। তবে মাছের পরিমান চাহিদার তুলনায় অনেক কম।
শুক্রবার (১৩ জুন) সকালে বাগেরহাট শহরের ভৈরব নদীর তীরে অবস্থিত কেবি বাজারে এমন চিত্র দেখা যায়।ব্যবসায়ীরা জানান, ৫৮ দিনের অবরোধ শেষে আজকেই প্রথম বঙ্গোপসাগরে মাছ আহরণ করে দুটি ট্রলার এসেছে। তবে এসব ট্রলারে মাছের পরিমান খুবই কম। যার ফলে দাম অনেক বেশি। সাগর থেকে মাছ ধরে আসা জেলে রুহুল বলেন, সাগরে যাওয়ার পরে কয়েকবার জাল ফেলতে পেরেছি। অল্প কিছু ইলিশ পেয়েছি, বাকি সব বাজে মাছ। পরে ট্রলারে সমস্যা হওয়ার কারণে চলে আসছি।
মোরেলগঞ্জ থেকে মাছ কিনতে তৈয়ব মুন্সি বলেন, অবরোধের সময় আসিনি। অনেক দিন পরে আজকে আসলাম, দাম অনেক বেশি। তারপরও কিছু কিনেছি, এখন এলাকায় নিয়ে বিক্রি করতে পারলে হয়।আজকের বাজারে, ২০০ থেকে ৩০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতি কেজি ৬শ থেকে ৮শ টাকা, ৫শ থেকে ৮শ গ্রামের ইলিশ ১২শ থেকে ১৫ শো টাকা কেজি এবং ৯শ গ্রাম থেকে এক কেজি ওজনের ইলিশ ২ হাজার থেকে ২৫শ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়া রুপচাঁদা আকার ভেদে কেজি ৫শ থেকে ১২শ টাকা, কঙ্কন, তুলারডাটি, ঢেলা চ্যালা, ভেটকি, লইট্টা, ছুড়ি, জাবা, বিড়াল জাবাসহ বিভিন্ন ধরণের মাছ একশ থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সময়ের সাথে সাথে ট্রলারের আগমন ও মাছের পরিমান বৃদ্ধি পেলে দাম কমবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
কেবি বাজার আড়ৎদ্বার সমিতির সাধারণ সম্পাদক অনুপ কুমার বিশ্বাস বলেন, অবরোধের পর প্রথম আজকেই বঙ্গোপসাগর থেকে ট্রলার এসেছে। তেমন মাছ পায়নি। তবে বিভিন্ন স্থান থেকে অনেক পাইকার আসছে। যার কারণে দাম কিছুটা বেশি। তবে মাছ বেশি হলে দাম কিছুটা কমবে বলে জানান তিনি।সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এবার ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত মোট ৫৮ দিন সাগরে মাছ আহরণ নিষিদ্ধ ছিল। নিষেধাজ্ঞা শেষে কেবি বাজারে ট্রলার আসতে শুরু করেছে।