প্রকাশিত: নভেম্বর ২, ২০২৩
নিজস্ব প্রতিবেদক,মা ইলিশ রক্ষায় সরকারের দেওয়া নিষেধাজ্ঞা শেষে বঙ্গোপসাগর ও সুন্দরবন উপকূলে মাছ আহরণ শুরু হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (০২ নভেম্বর) মধ্যরাত থেকে সুন্দরবনের বিভিন্ন নদীখাল ও বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরবেন জেলেরা। এজন্য সব ধরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন জেলে ও ব্যবসায়ীরা। মধ্যরাত থেকেই মোংলা ও শরণখোলার বিভিন্ন ঘাট থেকে বঙ্গোপসাগরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবেন জেলেরা।
এদিকে টানা ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষের মধ্য দিয়ে শুক্রবার সকাল থেকে সুন্দরবনের দুবলার চরের শুটকি মৌসুম শুরু হবে। জেলেরা সুন্দরবনের দুবলার চরসহ অন্যান্য চরের উদ্দেশ্যে রওনা দিবেন। ইতোমধ্যে মোংলার জয়মনির ঘোল এলাকায় অবস্থান করছেন। সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের অনুমতি নিয়ে শুক্রবার সকাল থেকে প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী ও অন্যান্য পন্য নিয়ে সুন্দরবনের উদ্দেশ্যে রওনা দিবেন জেলেরা। সেখানে গিয়ে জেলেরা নির্দিষ্ট চরগুলোতে অবস্থান নিয়ে নভেম্বর থেকে আগামী বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত অর্থাৎ পাঁচ মাসের জন্য দুবলার চরে থাকবেন জেলেরা। সেখানে ঘর ও শুটকি তৈরির মাঁচা বানিয়ে থাকবেন তারা। ভাল মাছ পেলে দীর্ঘ অবরোধের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন বলে আশা জেলেদের।
সমুদ্রগামী মৎস্যজীবি সমিতির সভাপতি মো. শহিদ মল্লিক বলেন, সুন্দরবনের শুটকি তৈরির পেশাটি জেলেদের মায়ার জায়গা হিসেবে তৈরি হয়েছে। অপেক্ষাকৃত কম আর্থিক সুবিধা থাকলেও, জেলেরা প্রতিবছর জীবনের ঝুকি নিয়ে দুবলারচরসহ অন্যান্য চরে যায়। এবারও ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে জেলেরা সুন্দরবনে যাচ্ছে। আশাকরি এবার মাছ ভাল হবে। তবে জেলেদের বাঁচাতে হলে, শুটকি মৌসুমে সুন্দরবনে যাওয়ার জন্য সহজ শর্তে সরকারি ঋণ প্রদান করতে হবে। তাহলে জেলেদের মধ্যে স্বচ্ছলতা ফিরে আসবে বলে দাবি করেন তিনি।
কচুয়া উপজেলার বগা গ্রামের সমুদ্রগামী জেলে ইব্রাহীম আমানি বলেন, শুটকি আহরণের পাশাপাশি বঙ্গোপসাগরে মাছ আহরণ করতে জেলেরা সুন্দরবনে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে। মধ্যরাত থেকে রওনা দিবে। আশাকরি এবার সাগরে ভাল মাছ পাওয়া যাবে।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগ সূত্রে জানাযায়, সুন্দরবনের দুবলার চরে শুটকি আহরণের জন্য জেলে, বহদ্দর ও ব্যবসায়ীরা আবেদন করেছেন। আবেদন প্রক্রিয়া যাচাই-বাছাই ও নির্দিষ্ট ফী গ্রহনের মাধ্যমে রাতে তাদেরকে সুন্দরবনে প্রবেশের অনুমতি প্রদান করা হবে।
বাগেরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এ এস এম রাসেল বলেন, ২২দিন পরে সাগরে মাছ ধরা শুরু হচ্ছে। নিষেধাজ্ঞার সময় আমাদের সর্বোচ্চ টহল ছিল। মৎস্য বিভাগের নজরদারির ফলে সাগরে কেউ মাছ আহরণ করতে পারেনি। এই কারণে আমরা আশা করছি এবার জেলেরা সাগরে ভাল মাছ পাবেন।