৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার,রাত ১:০৫

রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র সুন্দরবনের ক্ষতি

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৯, ২০২৪

  • শেয়ার করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক. রামপাল কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র সুন্দরবনের ক্ষতি ও মরুকরণ তৈরি করছে। সুন্দরবনের প্রাণ পশুর নদীর দূষণে জলজপ্রাণী মারা যাচ্ছে। পশুর নদীতে বিষাক্ত পারদের মাত্রা এখন অনুমোদিত মাত্রার চেয়ে দশগুন বেশি। রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র সুন্দরবনের জন্য বড় হুমকি। তাই এটি বন্ধ করে দিয়ে বিকল্প হিসেবে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে রূপান্তর ঘটাতে হবে।

শুক্রবার (২৯ নভেম্বর)  বিকেলে মোংলার কানাইনগর গীর্জা মাঠে পশুর নদী ও সুন্দরবন সুরক্ষা এবং জলবায়ু ন্যায্যতার দাবিতে ধরিত্রী রক্ষা আমরা (ধরা), সুন্দরবন রক্ষায় আমরা, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ ও পশুর রিভার ওয়াটারকিপার আয়োজিত জনসমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।

সুন্দরবন রক্ষায় আমরা এর সমন্বয়কারী পশুর রিভার ওয়াটারকিপার মোঃ নূর আলম শেখের সভাপতিত্বে  সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) এর সদস্য সচিব এবং ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ’র সমন্বয়কারী শরীফ জামিল। বিশেষ অতিথি ছিলেন ধরা’র কেন্দ্রীয় নেতা ইবনুল সাঈদ রানা, রিভার বাংলার সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ ও ধরা’র বরগুনার জেলা আহ্বায়ক মুশফিক আরিফ ও আরিফ হোসেন। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সার্ভিস বাংলাদেশের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান মিলন, জেলে সমিতির নেতা আব্দুর রশিদ হাওলাদার, সাইমন সরকার, বিদ্যুৎ মন্ডল, নারীনেত্রী গীতা হালদার, কমলা সরকার, রীতা হালদার ও পরিবেশকর্মী হাছিব সরদার।

প্রধান অতিথির শরীফ জামিল বলেন, ড. ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তবর্তীকালীন সরকার পরিবেশবান্ধব সরকার। ইতিমধ্যে সরকার পলিথিন এবং প্লাস্টিক দূষণে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। বর্তমান সরকার পরিবেশবান্ধব নবায়যোগ্য জ্বালানি বিকাশে আগ্রহী।  শরীফ জামিল আরো বলেন, ২০১০ সালের আগে পশুর নদীতে ১লিটার পানিতে মাছের ডিমের সংখ্যা ছিলো যেখানে ৬হাজারের উপরে সেখানে এখন ৩হাজারেরও কম পাওয়া যায়। পশুর নদীর উভয় তীরে ভাঙনের ফলে দাকোপ ও মোংলা উপজেলার বাণীশান্তা, চিলা এবং চাঁদপাই ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। পশুর নদী দূষণের মাত্রা মারাত্মকভাবে বেড়ে চলেছে। রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মার্ণের ফলে পরিস্থিতি লক্ষণীয়ভাবে খারাপ হয়েছে। জনসমাবেশে বনজীবি-জেলে-বাওয়ালী-মৌয়ালী-নারীসহ কয়েক হাজার জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্তু সুন্দরবন উপকূলীয় জনগোষ্ঠী উপস্থিত ছিলেন।

  • শেয়ার করুন