৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার,রাত ৯:০৭

খুলনা পরমাণু কেন্দ্রে সুশাসন বিষয়ক সভা : “যারা রোগী ভাগিয়ে নেবে তাদের কঠোর হস্তে দমন করতে হব ”

প্রকাশিত: মার্চ ৩১, ২০২৪

  • শেয়ার করুন

খুলনা অফিস :
ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন এন্ড এ্যালায়েড সায়েন্সেস(ইনমাস) খুলনা শাখা আয়োজিত সুুশাসন প্রতিষ্ঠার নিমিত্তে অংশীজনের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তারা বলেছেন, আদর্শ রাষ্ট্র গঠণে সকলকে স্ব-স্ব স্তর থেকে মানবিক ও সামাজিক মূল্যবোধ জাগ্রত করার মধ্যদিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। এজন্য সেবা প্রদানকারী ও সেবা গ্রহীতার মধ্যে আন্তরিকতা থাকা জরুরি। তবে সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে রোগী ভাগিয়ে বাইরে নেওয়ার প্রবণতা বন্ধে সকলকে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসারও আহবান জানান বক্তারা। বক্তারা বলেন, যারা সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে রোগী ভাগিয়ে বাইরে নেবে তাদেরকে কঠোর হস্তে দমন করতে হবে।
রবিবার সকালে নগরীর খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সংলগ্ন পরমাণু শক্তি কমিশনের ইনমাস সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতির বক্তৃতা করেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব খান মোঃ রেজা উন-নবী। মূখ্য আলোচক ছিলেন, ইনমাস খুলনার পরিচালক ও মূখ্য চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা: ঝর্ণা দাস।
সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, খুলনা মেডিকেল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডা: মো: খসরুল আলম মল্লিক, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা: মো: হোসাইন সাফায়েত এবং খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার সোনালী সেন।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ প্রাইভেট ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টার ওনার্স এসোসিয়েশন খুলনা শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা: গৌতম রায়, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. জলি সুলতানা, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা ডিসিপ্লিনের মোঃ সোহেল পারভেজ, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক, বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম আব্দুল্লাহিল কাফি, বাগেরহাটের ইলিয়াস কোতয়ালী, রেশমা বেগম, শিক্ষক তারক চন্দ্র মন্ডল প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে উপসচিব খান মোঃ রেজা-উন-নবী বলেন, একটি কল্যাণমূলক রাষ্ট্র গঠণ সবারই কাম্য। আর সে লক্ষ্য নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছে বর্তমান সরকার। যার অংশ হিসেবে অংশীজনদের সমন্বয়ে এভাবে সভা করে মাঠ পর্যায়ের যে কোন সমস্যা শোনা ও তার সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এজন্য তিনি সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে সেবার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়ার আহবান জানান।
মূখ্য আলোচক ইনমাস খুলনার পরিচালক ডা: ঝর্ণা দাস তার উপস্থাপনায় ইনমাস খুলনার ইতিহাস ও সেবা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তবে এখানে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাসহ ১৬টি পদ শূণ্য থাকার কথা তুলে ধরে দ্রæত এ সংকট সমাধানের দাবি জানান। পাশাপাশি সেবা গ্রহীতাদের পক্ষ থেকেও দ্রত পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া, কীট, ওষুধ, যন্ত্রপাতি ও স্থাপনাসহ সকল প্রকার সংকটের দ্রত অবসান দাবি করা হয়।
এ প্রসঙ্গে উপসচিব তার বক্তব্যে বলেন, সাধ্যের মধ্যদিয়ে সকল প্রকার সংকট সমাধানের চেষ্টা করা হবে। পাশাপাশি জনবলসহ অন্যান্য যে সংকট রয়েছে সেগুলো সমাধানের বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।
এসময় অন্যান্য বক্তারা উল্লেখ করেন, ইতোমধ্যে পরমাণু শক্তি কমিশনের এ শাখাটি যেভাবে মানুষের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে সেটি ধরে রাখতে যেসব চাহিদা রয়েছে সেগুলো পূরণ করা জরুরি। সভায় জানানো হয়, খুলনার এই পরমাণু কেন্দ্রে দুর্লভ বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষাসহ ১২৪টি পরীক্ষার সুযোগ রয়েছে। যেটি চিকিৎসকদের রোগ নির্ণয়সহ সেবা প্রদানের বেশ সহায়ক বলেও সভায় জানানো হয়।
পরে একই স্থানে তথ্য অধিকার আইন ও বিধিবিধান সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধিকরণ বিষয়ক এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায়ও সভাপতির বক্তৃতা করেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব খান মোঃ রেজা-উন-নবী। এসময় তিনি বলেন, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ২০০৯ সালে তথ্য অধিকার আইন প্রণয়ন করা হয়। সুতরাং যে কোন তথ্য জানার অধিকার জনগনের রয়েছে।

  • শেয়ার করুন