৯ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার,রাত ৮:৩৪

বাড়ল বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী ষাটগম্বুজে পর্যটকদের প্রবেশ মুল্য

প্রকাশিত: জুলাই ২০, ২০২৩

  • শেয়ার করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক. বাগেরহাট  প্রাচীনতম বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী ষাট গম্বুজ মসজিদ ও   জাদুঘরের প্রবেশ মুল্য বাড়ানো হয়েছে। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক চন্দন কুমার দে স্বাক্ষরিত এক কার্য বিবরণীতে এই আদেশ দেওয়া হয়েছ। বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই ২০২৩ ) থেকে কার্যকর শুরু হবে বলে নিশ্চিত করেছেন বাগেরহাট জাদুঘরের কাষ্টোডিয়ান মোঃ যায়েদ।

ওই আদেশ অনুযায়ী,  দেশি পর্যটকদের জন্য ২০ টাকার স্থলে ৩০ টাকা প্রবেশ মুল্যে বাড়ানো হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের জন্য ৫ টাকার স্তলে ১০ টাকা, বিদেশি পর্যটকদের জন্য ২০০ টাকার স্থলে ৫০০ টাকা, ও  সার্কভুক্ত বিদেশি পর্যটকদের জন্য ১০০ টাকার স্থলে ২০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।  এছাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পর্যন্ত বিনামূল্যে প্রবেশের সুযোগ রয়েছে।

এদিকে গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য ফি বাড়ানো হয়েছে,  যেখানে আগে ছিল বাস ও ট্রাক প্রতি ১০০ টাকা সেখানে বাড়িয়ে ২৫০ টাকা, ঝিপ প্রাভেটকার, মাইক্রো ৫০ টাকার স্থলে ৭০ টাকা এবং মোটরসাইকেল ১০ টাকার স্থলে ২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।সকল ধরনের পার্কিং এর উপর ১৫ ভ্যাট প্রযোজ্য।

প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর, বাগেরহাটের কাস্টোডিয়ান মোঃ যয়েদ বলেন, ঊর্ধ্বোতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ষাটগম্বুজ মসজিদ  ও বাগেরহাট জাদুঘরে প্রবেশ মুল্যে বাড়ানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) থেকে আমরা এই ফি কার্যকর করেছি। পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই ফি চলমান থাকবে বলে জানান তিনি।  এনিয়ে তৃতীয় বারের মত প্রবেশ মুল্যে বাড়ানো হল। এর আগে ২০১৪ সালে প্রবেশ মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছিল।

বাগেরহাট শহরটিকেই বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের মর্যাদা দেয়া হয়েছে। ১৯৮৫ খ্রিস্টাব্দে ইউনেস্কো এই সম্মান প্রদান করে।  বাগেরহাট জেলার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত একটি প্রাচীন মসজিদ। মসজিদটির গায়ে কোনো শিলালিপি নেই। তাই এটি কে নির্মাণ করেছিলেন বা কোন সময়ে নির্মাণ করা হয়েছিলো সে সম্বন্ধে সঠিক কোনো তথ্য পাওয়া যায় না। তবে মসজিদটির স্থাপত্যশৈলী দেখলে এটি যে খানজাহান আলী  নির্মাণ করেছিলেন সে বিষয়ে  কোনো সন্দেহ থাকে না। ধারণা করা হয় তিনি ১৫শ শতাব্দীতে এটি নির্মাণ করেন।মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছিলো পাথরগুলো আনা হয়েছিলো রাজমহল থেকে।  মসজিদটি উত্তর-দক্ষিণে বাইরের দিকে প্রায় ১৬০ ফুট ও ভিতরের দিকে প্রায় ১৪৩ ফুট লম্বা এবং পূর্ব-পশ্চিমে বাইরের দিকে প্রায় ১০৪ ফুট ও ভিতরের দিকে প্রায় ৮৮ ফুট চওড়া। দেয়ালগুলো প্রায় ৮•৫ ফুট পুরু।  সুলতান নসিরউদ্দীন মাহমুদ শাহের (১৪৩৫-৫৯) আমলে খান আল-আজম উলুগ খানজাহান সুন্দরবনের কোল ঘেঁষে খলিফাবাদ রাজ্য গড়ে তোলেন। খানজাহান বৈঠক করার জন্য একটি দরবার হল গড়ে তোলেন, যা পরে ষাট গম্বুজ মসজিদ হয়। তুঘলকি ও জৌনপুরী নির্মাণশৈলী এতে সুস্পষ্ট।

  • শেয়ার করুন