২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার,দুপুর ১:৪৫

বাগেরহাটে ৬৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে গরুর গোশত

প্রকাশিত: মার্চ ২১, ২০২৪

  • শেয়ার করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক. বাগেরহাটে ৬৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে গরুর গোশত বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা ।কম মূল্যে গোশত কিনতে পেরে খুশি ভোক্তারা। দাম কম হওয়ার কারণে চর্বি, হাড়সহ নিম্নমানের গোশত বিক্রিরও অভিযোগ রয়েছে। তবে ব্যবসায়ীদের দাবি দাম কমের কারণে চর্বি ও হাড়সহ গোশত দিতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুরে বাগেরহাট শহরের প্রধান বাজারে গিয়ে দেখা যায় ৬৫০ টাকা কেজি দরে গরুর গোশত বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। একদিন আগেও এই বাজারে গরুর গোশত ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ তন্ময়ের নির্দেশে কম দামে বিক্রি করা হচ্চে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

কিছুটা দাম কম হওয়ায় ক্রেতারাও স্বতস্ফুর্তভাবে পরিবারের জন্য গোশত ক্রয় করছেন। পূর্বের তুলনায় কেজিতে ৮৫ টাকা ১৩৫ টাকা পর্যন্ত কম দামে কিনতে পেরে খুশি ভোক্তারা। ভবিষ্যতেও এই দাম বহাল রাখার দাবি করেন তারা। তবে কম দামে নিজেদের ইচ্ছেমত গোশত নিতে পারছেন না ক্রেতারা। ব্যবসায়ীরা যেভাবে গোশত কেটে দিচ্ছেন সেভাবে নিতে হচ্ছে। অন্যান্য পন্যেরও দাম কমানোর দাবি জানিয়েছেন তারা।

মাহমুদুল হাসান নামের এক ক্রেতা বলেন, গরুর গোশতের দাম কেজিতে প্রায় একশ টাকা কমেছে। আজকে ৬৬৫ টাকা করে কিনলাম। এটাখুবই ভাল উদ্যোগ। তবে আলু, মরিচ, খেজুরসহ অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যের দাম কমানো উচিত।

আব্দুল গফফার শেখ নামের এক বৃদ্ধ ক্রেতা বলেন, দাম কমেছে। কিন্তু আমরা আমাদের পছন্দ মত গোশত কিনতে পারছি না। ব্যবসায়ীরা চর্বি ও হাড়সহ যেভাবে দিচ্ছেন, সেভাবে নিতে হচ্ছে।

তানজির কায়সার নামের আরেক ব্যক্তি বলেন, মূলত দোকানের সামনে টানাকো গোশত থেকে পছন্দ করে একটি পিস দিতাম। সেটি কেটে টুকরো করে দিত, তাই কিনতাম। কিন্তু আজকে সেভাবে নিতে চাইলে দোকানদার বলল দাম কমে গেছে এভাবে দেওয়া যাবে না। আগে থেকে টুকরো করে রাখা গোশত নিতে হবে।

খান মিট হাউসের ব্যবসায়ী শাহিন হাওলাদার বলেন, বাগেরহাট ছোট শহর এখানে সবাই-সবার পরিচিত। তাই গোশত বেছে দিতে হয়। কিন্তু এই দামে বেছে দেওয়া যায় না। যার কারণে চর্বি ও হাড়সহ বিক্রি করতে হচ্চে।

মোঃ কামরুল নামের আরেক ব্যবসায়ী বলেন, এই দামে কখনও গোশত বিক্রি করিনি। বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ তন্ময়ের নির্দেশে এই দামে বিক্রি করছে। দুই একদিন বিক্রি করার পরে বোঝা যাবে এই দামে লস হবে না পোশানো যাবে।

বাগেরহাট জেলা কৃষি বিপনন কর্মকর্তা আব্দুস সালাম তরফদার বলেন, কৃষি বিপনন অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ২৯টি পন্যের দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় আমরা ৬৬৫ টাকা কেজি দরে গরুর গোশত বিক্রি করার ব্যবস্থা করতে সক্ষম হয়েছি। অন্যান্য পন্যও নির্ধারিত দামে বিক্রির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এছাড়া ৬৬৫ টাকার অতিরিক্ত দামে গরুর গোশত বিক্রি করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন এই কর্মকর্তা।

 

  • শেয়ার করুন